২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রাজধানীতে এসএসসির ফরম পূরণ

৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত আদায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা

-

রাজধানীর ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কে এল জুবিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ছোলমাইদ উচ্চবিদ্যালয়, আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল ও এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজকে চিহ্নিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। অধিদফতরের ১১টি তদারকি টিমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলা ট্রিবিউন
এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১০ লাখ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করেছে বলে তদারকি টিমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় অতিরিক্ত ফি আদায় সম্পর্কে তদারকি টিমকে কোনো তথ্য দেয়নি। 
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ফরম পূরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান বলেছে, রেজুলেশন করে টাকা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা ১১টি টিমের প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাসংক্রান্ত সব বিষয়ের দায়িত্ব পালন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয় কৌশল, নীতি ও সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। সেই হিসেবে রাজধানীর অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত দিয়েছে, যারা ফেরত দেয়নি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠলে গত ২০ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদন্তের জন্য ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য একটি করে কমিটি গঠন করে। প্রতিটি কমিটিতে রাখা হয় তিনজন করে সদস্য। এসব কমিটি রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযুক্ত ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টি প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ফি নেয়ার তথ্য সংগ্রহ করে। শুধু বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান তথ্য দেয়নি। তবে তদন্ত টিমের কাছে তথ্য না দেয়ার ব্যাপারে আলাতুনন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা তথ্য দিয়েছি। অতিরিক্ত টাকা আমরা নেইনি।’ এ দিকে মাউশির গঠন করা ১১টি টিমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চবিদ্যালয় ৭৭ জন ছাত্রের কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করেছে ৯২ হাজার ৪০০। ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৩০ হাজার ৫০০ টাকা। রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মুকুলিয়া শিক্ষালয়ের ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ১৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার ৩৫০ টাকা। ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলের ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। জামিলা খাতুন লালবাগ উচ্চবিদ্যালয়ের ১০৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৭০০ করে আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা। নতুন পল্টন লাইন স্কুলের ১৬৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ৮৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা। শহীদ মানিক আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি চার হাজার ১০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা। শহীদ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। গজমহল ট্যানারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১৪১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৮০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা তহয়েছে তিন লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। সালেহা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩১০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৩৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে সাত লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। ওয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ৫২০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ৪৮০ টাকা। আশরাফাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের ৩৭০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। হাজী আব্দুল আওয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৭০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা। বাড্ডা উচ্চবিদ্যালয়ের ৯৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ছোলমাইদ উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৫৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি চার হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২০০ টাকা। মডেল একাডেমি মিরপুর-১ প্রতিষ্ঠানের ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৪০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল স্কুলের ১২২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার ১৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা। ধামাল কোর্ট আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে দুই লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চবিদ্যালয়ের ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি চার হাজার ২৬৫ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে তিন লাখ দুই হাজার ৮১৫ টাকা। আলহাজ আব্বাস উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ৪০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে চার লাখ চার হাজার ৩২০ টাকা। মিরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি চার হাজার ৩০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ৬০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১০৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি আট হাজার ৮০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টাকা। ইব্রাহিমপুর সালাউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে তিন লাখ আট হাজার ৪০০ টাকা। দক্ষিণ কাফরুল মডেল উচ্চবিদ্যালয় ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৭১ হাজার টাকা। সেন্ট গ্রেগরি উচ্চবিদ্যালয় ১৯৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি আট হাজার ৪০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা। সেন্ট ফ্রান্সিস জেবিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি আট হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল ১৬১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার ১৩০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে আট লাখ ২৫ হাজার ৯৩০ টাকা। দক্ষিণ মুহসেন্দি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৬০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে দুই লাখ দুই হাজার ৮০০ টাকা। আনন্দময়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ২৬৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি চার হাজার ৭০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা। হাম্মাদিয়া উচ্চবিদ্যালয় ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ১২৫ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৬২৫ টাকা। রমনা রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয় ৬০ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ৯০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা। বংশাল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ৩৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৯১০ টাকা। মিল্লাত উচ্চবিদ্যালয় ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা। পোগোজ স্কুল ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুই হাজার ৫৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকা। গ্রাজুয়েটস উচ্চবিদ্যালয় ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। কে এল জুবিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৭৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকা। আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৮২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা তদারকি টিম করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। অভিযোগের ব্যাপারে বাড্ডা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক বলেন, আমরা ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে রেজুলেশন করে তিন হাজার টাকা বেশি নিয়েছি। এক হাজার টাকা মডেল টেস্টের জন্য আর দুই হাজার টাকা কোচিংয়ের জন্য। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে জনপ্রতি আট হাজার করে বেশি টাকা নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ স্যার মেরী পালমা বলেন, ‘উনারা (মাউশির তদারকি টিম) তদন্ত করে গেছেন।’ তদারকি টিম টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেছে কি না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি ওই সময় ট্রেনিংয়ে ছিলাম, আমি বলতে পারব না। আর এখন আমি বাইরে, আমি এখন বলতে পারব না।’


আরো সংবাদ



premium cement