১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

দায়ীদের বিচারের দাবি ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

-

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রতীকের আত্মহত্যার কারণ দ্রুত খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা। তারা শাবিপ্রবির জড়িত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। এ সময় বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন তাদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন প্লাকার্ড ধারণ করেন। এগুলোর মধ্যে ছিলÑ ‘প্রতীকের মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা?’, ‘আত্মহত্যা বন্ধ হোক’, ‘প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া সত্ত্বেও প্রতীক কেন থিসিস করার সুযোগ পেল না?’, ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক’ ইত্যাদি।
বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, কিছু শিক্ষক আছেন যারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে স্বার্থবাদী কাজ করেন। এর ফলে আমাদের শিক্ষকদের মাথা নিচু হয়ে যায়। সম্প্রতি শাবিপ্রবির ঘটনায় খোঁজ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কিন্তু এই ঘটনাটি যদি আংশিক সত্য হয় তবে শিক্ষক নামের কেউ এই পদে থাকতে পারেন না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সাথে বিশ^বিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করেন তার খোঁজ নিয়ে সমাধান হওয়া চাই।
সাবেক প্রক্টর ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন প্রয়োজন। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এই ধরনের ঘটনার বারবার অভিযোগ উঠছে। ব্যক্তিস্বার্থবাদী, রাজনৈতিক প্রভাবশালী শিক্ষকদের চক্রান্তের বলী হন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যা নয়, হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ভালো শিক্ষকের গুণ শুধু পড়ানো, বক্তৃতা দেয়া, রাজনীতি করা নয়। ভালো শিক্ষকের গুণ শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা। সেই বিচারে শাবির এসব শিক্ষক আমার কাছে শূন্য নম্বর পেয়েছেন। তারা কাসে ভালো পড়াতে পারেন, রাজনীতি করতে পারেন, কিন্তু ছাত্রদের ভালোবাসতে পারেন না। বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয়ে রাজনীতি, এলাকাপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, এর জন্য ভালো শিক্ষকেরা বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাব খাটাতে পারেন না। ফলে নানা ঝামেলা হয়। জ্ঞানের চর্চা হয় না। তিনি প্রতীকের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হুমায়ন কবির, বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ভাষাবিজ্ঞানের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সালমা নাসরীন, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল