২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬১ শতাংশ ডাক্তার অনুপস্থিত ১১ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

-

দেশের আট জেলার সরকারি ১১ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অ্যানফোর্সমেন্ট টিম। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে ঢাকার বাইরে সাতটি হাসপাতালে অনুপস্থিত চিকিৎসকের হার প্রায় ৬১.৮ শতাংশ। অভিযানকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সব ডাক্তার উপস্থিত পাওয়া যায়।
আট জেলার ১১টি হাসপাতালটি হলোÑ ঢাকার তিনটি কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতাল, মা ও শিশু সদন ও মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুর সদর হাসপাতাল, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পাবনার সদর জেনারেল হাসপাতাল ও আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
দুদক জানায়, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আসা এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালগুলোয় একযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক অ্যানফোর্সমেন্ট টিম।
দুদক সূত্র জানায়, আট জেলার ১০ হাসপাতালে মোট রোস্টার ডিউটি বণ্টনকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা ২৩০ জন থাকলেও কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত পাওয়া যায় ৯২ জন চিকিৎসককে, যা মোট চিকিৎসকের ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে মুগদা হাসপাতাল বাদে ঢাকার দুই হাসপাতালের ৯৯ জন ডাক্তারের মধ্যে ১১ জন অনুপস্থিত ছিল। ঢাকার বাইরের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় এ চিত্র আরো ভয়াবহ। ঢাকার বাইরের সাত জেলার মোট হাসপাতালে রোস্টার ডিউটি বণ্টনকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা ১৩১ জন থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ৮১ জন। এক্ষেত্রে অনুপস্থিতির হার মোট চিকিৎসকের প্রায় ৬১.৮ শতাংশ। মুগদা জেনারেল হাসপাতালে অভিযানকালে জরুরি বিভাগের এক কর্মচারী মো: আবু মুসা ভূঞা (স্ট্রেচার বিয়ারার) দায়িত্বরত অবস্থায় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণকালে দুদক টিমের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন। দুদক টিমের সুপারিশক্রমে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে অ্যানফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়ক দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে এ অবক্ষয় অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবসেবার চেতনা না থাকলে চিকিৎসাসেবা পরিত্যাগ করা উচিত। তবে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে দুদক কঠোর অবস্থান নেবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের চাকরি হারাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সারা দেশের স্বাস্থ্য সেক্টর দুদকের নজরদারিতে থাকবে।
দুদক আরো জানায়, ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, উপজেলা বা মফস্বলে পর্যাপ্ত চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া হলেও তারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে সময় প্রদান করছেন। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় শীর্ষ কর্মকর্তারা মাসের বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। এ সুযোগে কনসালট্যান্ট ও মেডিক্যাল অফিসাররাও কর্মস্থলে ঠিকমতো হাজির থাকেন না। অনেকে সপ্তাহে দুই-এক দিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে পুরো মাস অনুপস্থিত থাকেন এবং পুরো মাসের বেতন উত্তোলন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

সকল