২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোট চোর কখনো দুর্নীতির বিচার করতে পারে না : দুদু

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিবাদ সভা : নয়া দিগন্ত -

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর নয় ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতেই ভোট হয়েছে। আর সেদিনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে। তিনি গতকাল এক সভায় বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে, এটা লজ্জার নির্বাচন। নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে দেশে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। কোনো সুষ্ঠু স্বাধীন গণতান্ত্রিক জাতি এবং এ দেশের মানুষও এটাকে মেনে নেয়নি। এই নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি যা-ই বলেন, এ রকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে, তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন, এটা আমরা মনে করি না। দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে বিজয় উৎসবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে সমর্থন করতাম যদি তিনি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতেন। আসলে এ দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিটা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন। আয়োাজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, মো: ওমর ফারুক সাফিন, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো: আনোয়ার প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৩০ তারিখ ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনি¤œপর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন পুলিশ তো সরকারি চাকরি করে, কেন তাদের এ রকমভাবে ব্যবহার করলেন? আপনারা র্যাব, ডিসি-এসপি, ইউএনও যারা মর্যাদাশীল এই চাকরিজীবীদের জাতির সামনে এত ছোট করলেন কেন? তাদের কেন বাধ্য করলেন তথাকথিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?
তিনি বলেন, বিএনপি হয়তো এই অবস্থায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নাই। কিন্তু এ কথা ভাবার কোনো কারণ নাই, আগামী পাঁচ বছর তারা ক্ষমতায় থাকবে। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় অসত্যের পতন হয়। সত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন যা চলছে তা অসত্য। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যদি ডাকাতি করতে পারে তাহলে ব্যবসায়ীরা করতে পারবে না কেন?
দুদু আরো বলেন, স্বৈরতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্রের পরাজয় সর্বজনীন। কিন্তু দীর্ঘকালীন চলতে থাকবে এ কথাটা ঠিক নয়। গণতন্ত্রের কাছে স্বৈরতন্ত্রের পরাজয় ও পতন হবে। আগে কেউ টিকে থাকতে পারে নাই, এখনো পারবে না।
এ জন্য আমাদের সর্বশেষ কথা হচ্ছে উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে দাঁড়ানোর অর্থই হচ্ছে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা। গণতন্ত্র ধারণ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা।
সরকার প্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময় থাকতে বোঝার চেষ্টা করেন, আপনার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচন যা ২০১৮ সালের নির্বাচন তা।
দেশে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নাই, এখন আছে পুলিশ, প্রশাসন, র্যাব। এক দিনের জন্য পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় হলে আওয়ামী লীগ বুঝবে কত ধানে কত চাল। আসলে পুলিশ দিয়ে তারা শুধু গণতন্ত্র ধ্বংস করে নাই আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী সাকিবকে ডিপিএলে চান বিসিবি প্রধান নির্বাচক কাতারের সাথে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল খুলনায় হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল যুক্তরাষ্ট্র? জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে

সকল