২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন ঘিরে সরগরম এফডিসি

-

আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে এখন সরগরম এফডিসি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও ভোটারের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এফডিসি। প্রার্থীরা ভোটারদের যেখানেই পাচ্ছেন ভোট চাচ্ছেন। আড্ডা চলে এফডিসি ক্যানটিন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পাশের মাঠ, আমতলাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
জানা গেছে নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্যানেল দুটি হচ্ছে মুশফিকুর রহমান গুলজার-বদিউল আলম খোকন প্যানেল ও বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী প্যানেল। প্রতিটি প্যানেলের বিভিন্ন পদে অংশ নিচ্ছেন ১৯ জন করে প্রার্থী।
এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাসচিব পদে নির্বাচন করবেন পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি। তিনি আলাদা প্যানেল গড়তে চাইলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে প্রার্থীরা বলছেন, তারা দুটি প্যানেলে নির্বাচন করলেও গঠনতন্ত্রে প্যানেলের বাধ্যবাধকতা বা অস্তিত্ব নেই। এখানে সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। শুধু নির্বাচনী সুবিধার জন্য প্যানেল তৈরি করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন আবদুল লতিফ বাচ্চু। সহকারী কমিশনার হিসেবে থাকবেন শফিকুর রহমান ও ডি এইচ নিশান।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ভোটার ৩৬১ জন। নির্বাচিতরা ২০১৯-২০ সালের জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দায়িত্বে থাকবেন।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক নির্বাচনে আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব পদে লড়ছেন। তিনি বললেন, ‘চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার আমরা যারাই নির্বাচিত হই সাংগঠনিকভাবে মন্ত্রীর কাছে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাব। এ ছাড়া দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স চালুরও দাবি জানাব।’
সমিতির বর্তমান সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘নির্বাচন আমাদের সমিতির জন্য উৎসবের মতো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এফডিসি। আমরা যারাই নির্বাচিত হই না কেন, সবাই এক হয়ে কাজ করব।’
মহাসচিব পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাফি উদ্দিন সাফি। এর আগে দু’বার যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমারও ইচ্ছা ছিল পুরো প্যানেল নিয়ে নির্বাচন করার। কিন্তু সভাপতি পদে যার থাকার কথা ছিল তিনি শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি। তাই একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মহাসচিব পদপ্রার্থী বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘গত দুই বছর আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের চলচ্চিত্র যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাইরের দেশের চলচ্চিত্র যেন আমাদের দেশ দখল করতে না পারে। দেশী চলচ্চিত্র আবারো মাথা তুলে দাঁড়াবে, এ প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চলচ্চিত্রের সব সংগঠন আমাদের পাশে ছিল। আশা করি, আগামীতেও আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।’
অপর প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী বজলুর রাশেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের এখন সর্বত্র পরিবর্তন প্রয়োজন। টেকনোলজির সাথে পরিচালকদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন দরকার। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রে যেমন পরিবর্তন আনতে হবে তেমনি আমাদের সমিতিতেও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আমরা নির্বাচন করছি।


আরো সংবাদ



premium cement