২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড. কামাল যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন : মেনন

-

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জিয়া-খালেদার পর ড. কামাল এখন যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ও সমাজে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই অপরাধবোধ থেকেই সম্ভবত তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তবে তার মনে রাখা উচিত, একমুখ ধমক দিয়ে বন্ধ করা যায়, কিন্তু দেশবাসীর মুখ বন্ধ রাখা যায় না। যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে নির্বাচন করে ড. কামাল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কেবল নৈতিক অধিকারই হারান নাই, বুদ্ধিজীবী হত্যা, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলার অধিকারও তিনি হারিয়েছেন। তাই সাংবাদিকরা নয়, দেশবাসীর কাছে তারই ক্ষমা চাইতে হবে।
‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গতকাল এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা: মিল্টন হলে আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরো আলোচনায় অংশ নেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা: আলীম চৌধুরীর সহধর্মিণী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের উপাচার্য ড. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমএর মহাসচিব ড. ইহতেশাম আলমগীর, সাবেক সভাপতি সোহরাব আলী, বিএমএ সদস্য অধ্যাপক ডা: শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ডা: জাহিদ হোসেন, সদস্য ডা: মো: জাভেদ, ডা: পবিত্র দেবনাথসহ গণ্যমান্যরা।
সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করায় ড. কামাল যদি একজন সাংবাদিককে হুমকি দিতে পারেন, কত টাকা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করছে বলে জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাহলে আমরাও তাকে একই প্রশ্ন করতে পারি যে তিনি কত টাকার বিনিময়ে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসাতে মাঠে নেমেছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে ড. কামালরা ধরাকে সড়া মনে করছে। তারা পাকিস্তানের আইএসর সাথে আঁতাত করে রাজাকার আলবদরের দোসরদের এখন ক্ষমতায় নিতে চান।


আরো সংবাদ



premium cement