১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে ড. এমাজউদ্দীন

সরকারের ভুল পদক্ষেপের অংশীদার হবেন না

শত নাগরিকের সেমিনারে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ : নয়া দিগন্ত -

দুর্দিন ও স্বৈরশাসন স্থায়ী থাকে না মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দুইটি জিনিস অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেছে। একটি হলো সরকার ও রাজনৈতিক দলকে একীভূত করা। অন্যটি হলো প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নয়, দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উন্নত বিশ্বে সরকার ও দল সম্পূর্ণ আলাদা থাকে। কিন্তু এই সরকার তা মুছে দিয়েছে। এখন সরকার ও দল একাকার। ফলে সরকার ও দলের আলাদা স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হয়েছে।
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সংবাদপত্রে বাংলাদেশ : এক দশকের মানচিত্র প্রদর্শনী’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি। সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শরীফ উদ্দীন, অধ্যাপক এমাদুল হুদা ও অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু। অনুষ্ঠানস্থলে গত এক দশকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নানা ঘটনা সংবলিত খবরের কাটিং টাঙিয়ে দেয়া হয়। অনেকেই সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। দুর্নীতি, লুটপাট, হামলা-মামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, শাসন-প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ইস্যুর খবরগুলো এতে স্থান পায়।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমি দীর্ঘ দিনের শিক্ষক। পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে আমার বহু ছাত্র ঊর্ধ্বতন পদে আছেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছিÑ গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সরকারের যে উদ্যোগ ও উদ্দেশ্য তা অন্যায়। তোমরা রাষ্ট্রের প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে তা মানবে না। সরকারের ভুল পদক্ষেপের অংশীদার হয়ো না। ফলে জাতি তোমাদের দ্বারা উপকৃত হবে। মনে রাখতে হবে দুর্দিন ও স্বৈরশাসন স্থায়ী থাকে না। ২০১৯ সালে আমরা ভিন্ন বাংলাদেশ দেখবো। আশা করি নতুন কিছু পাব। তিনি আরো বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবারের নির্বাচন আন্দোলনও বটে।
ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সমসাময়িক কালের সমাজের চিত্র সংবাদপত্রে দেখতে পাই। তবে কিছু কিছু সংবাদপত্র আছে যারা শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে আবার কিছু জনমানুষের কথা বলে। শোষক-শোষিতের কথা বলে। সমাজের গাঢ় অন্ধকার দূর করতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু আজকে সেই বাংলাদেশ কোথায়? যে দেশে মানুষ স্বাধীনভাবে চলবে, দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে! আজ দেশ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। মানুষ তো স্বাধীনভাবেই জন্মলাভ করে। আজকে স্বাধীনতা কোথায়? দ্রুত অমানিশার ঘোর কাটবে।
ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, বছরের প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেয়ার রীতি বর্তমান সরকারের আমলে শুরু হয়নি। বরং শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য, উপবৃত্তি দেয়া শুরু হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলেই। বহু রাস্তাঘাট ব্রিজ নির্মাণ করেছেন তার সরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি কর্তৃত্ববাদী শাসক বেশি দিন থাকে না। সময় হলেই চলে যায়।
ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সরকার অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে। তার মন্ত্রী-এমপিরা পেরিলিয়ান লায়ার। এখন যেভাবে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে আল্লাহ ভালো জানেন ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন কী হবে?

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

সকল