১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুলিশি গ্রেফতারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোটের মাঠে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল

চট্টগ্রামের ১৬ আসন
-

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন প্রায় দুই শ’র কাছাকাছি প্রার্থী। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন জোট ১৬ আসনের ১৫টিতেই পুরানে আস্থা রেখেছে। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে শাসক জোট। বিপরীতে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের মুখে থাকা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের ১৬ আসনে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তাদের অর্ধেকই ভোটের মাঠে একেবারেই নতুন। ফলে একদিকে ভোটের মাঠে অনভিজ্ঞ নবীন প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ, অন্য দিকে নিত্যদিনের পুলিশি মামলা ও গ্রেফতারির খড়গ সত্ত্বে¡ও ভোটের মাঠে থাকতে চায় টানা একযুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
বিএনপি ও জোট সঙ্গী দলগুলোর নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শাসক দল উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে ভোটারদের সামনে হাজির হলেও জনগণ এসব গায়ে মাখছে না। সরকারের জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ মানুষ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে তারা বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলেই ধানের শীষের জয় নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী তেমন ফ্যাক্টর নয় বলেও তাদের দাবি।
নানা হিসাব-নিকাশ আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগ দু’টি আসন জোট সঙ্গীদের ছেড়ে নিজেদের দলের ১৪ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। অন্য দিকে বিএনপি তিনটি আসন জোটকে ছেড়ে নিজেদের দলের ১৩ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। তবে দুই জোটের সব প্রার্থীই জোটগত একক প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে দুই জোটের মূল প্রার্থীর বাইরে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা থাকা মাওলানা জহিরুল ইসলামের প্রার্থিতা দুই জোটের প্রার্থীর জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দুই জোটের প্রার্থিতা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপির নবীন প্রার্থী নুরুল আমিনের সাথে।
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে মহাজোট প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সাথে বিএনপির প্রার্থী মো: আজিম উল্লাহ বাহারের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বগোত্রীয় আনজুমানে রহমানিয়া মঈনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়া দরবারের সাজ্জাদানশীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানীর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থীর সামনে রয়েছে ভোটের মাঠে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার চ্যালেঞ্জ।
চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার সাথে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশার লড়াই হবে।
চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড ও মহানগর আংশিক আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম ও কারান্তরীণ বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর লড়াই হবে।
চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে লড়াই হবে মহাজোট মনোনীত বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ধানের শীষের প্রার্থী কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীকের মধ্যে। এই আসনে উভয় প্রার্থীই জোট সঙ্গী দলের। এর মধ্যে অবশ্য ভোটের মাঠে একেবারেই নতুন ধানের শীষের প্রার্থী।
চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও বিএনপির জসিম উদ্দিন সিকদারের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনে লড়াই হবে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা নুরুল আলমের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও আসনে লড়াই হবে বর্তমান এমপি জাসদের (একাংশ) মঈন উদ্দিন খান বাদল ও বিএনপির নবীন প্রার্থী আবু সুফিয়ানের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসনে আওয়ামী লীগের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিএনপির ডা: শাহাদাত হোসেন উভয়ই নতুন প্রার্থী।
চট্টগ্রাম-১০ পাহাড়তলী-ডবলমুরিং আসনে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান ও আওয়ামী লীগের থেকে বর্তমান এমপি মো: আফছারুল আমিনের মধ্যে হবে লড়াই। জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী এই আসনে ধানের শীষের সমর্থনে গতকাল রোববার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এম আবদুল লতিফের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগের সামশুল হক চৌধুরী ও বিএনপির প্রার্থী মো: এনামুল হক। বিএনপির প্রার্থী মো: এনামুল হক একেবারেই নতুন আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের এমপি।
চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সাথে বিএনপির সরওয়ার জামাল নিজামের।
চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মো: নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী ড. কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চট্টগ্রাম-১৫ লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আসনে আওয়ামী লীগের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন এবং ওই আসনের সাবেক এমপি জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া মাওলানা জহিরুল ইসলামও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে আশাবাদী।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি

সকল