২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনের আগে হচ্ছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : রয়টার্স

-

রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বাংলাদেশের শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম রোববার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তর কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। শরণার্থীদের মূল দাবি মোতাবেক প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন ধারার পদপে দরকার বলেও জানান তিনি।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের কারণে জাতিসঙ্ঘের হিসেবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় সাত লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে এই অভিযান শুরু হয় বলে দাবি করে থাকে মিয়ানমার। তবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, সেনাসদস্য ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বেসামরিক মানুষ তাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতে থাকায় পালাতে বাধ্য হয়েছে তারা। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত একটি তদন্ত দল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার উদ্দেশ্য ও জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদ্দেশ্যে অভিযান চালানোর অভিযোগ আনে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার গত ১৫ নভেম্বর থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়। তবে এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা, জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা এবং সহায়তা সংস্থাগুলো। তাদের আশঙ্কা, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারো নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়বে রোহিঙ্গারা।
গত ১৫ নভেম্বর প্রথম ব্যাচের দুই হাজার ২০০ শরণার্থীর মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও শরণার্থীদের বিােভের মুখে তা স্থগিত রাখা হয়। ন্যায়বিচার, নাগরিকত্ব এবং নিজ গ্রামে ফেরা ও ভূমির অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি পূরণের আগে মিয়ানমার যেতে অস্বীকৃতি জানায় প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা শরণার্থীরা।
এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশের শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেছেন, ‘এসব ছাড়া কেউ ফিরতে রাজি হবে বলে মনে হয় না’।


আরো সংবাদ



premium cement