২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কানায় কানায় পূর্ণ সঙ্গীত উৎসব

-

লোকজ সঙ্গীতের দ্বিতীয় দিনেও উৎসব মাতালেন শিল্পীরা। ছুটির দিনে গতকালও আর্মি স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। শেকড়ের টানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপভোগ করেছেন শেকড়সন্ধানী সব গান।
দেশের লোকজ সঙ্গীতকে বিশে^র সামনে তুলে ধরতে ঢাকায় শুরু হওয়া এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই লোকজ গানের উৎসবে গতকাল বাংলাদেশসহ পাঁচটি দল গান গেয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের মমতাজ বেগম ও স্বরব্যাঞ্জো, যুক্তরাষ্ট্রের লস টেক্সম্যানিয়াকস, বাহরাইনের মাজাজ এবং ভারতের দ্য রঘু দীক্ষিত প্রজেক্ট।
আজ উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিনে বাংলাদেশের বাউল কবির শাহ্, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, ও নকশীকাঁথা, পাকিস্তানের শাফকাত আমানত আলী ও স্পেনের ‘লা মিগাস’ সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের শিল্পী মমতাজের গান দিয়েই উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরু হয়। মমতাজ একাধিক গান পরিবেশন শেষে একে একে দর্শক মাতান স্বরব্যাঞ্জো, টেক্সম্যানিয়াকস, মাজাজ এবং দ্য রঘু দীক্ষিত প্রজেক্ট।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে তিন দিনে বাংলাদেশসহ বিশে^র সাত দেশের ১৭৪ জন শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া তিন দিনের এ উৎসব আজ শেষ হবে।
প্রথম দিনে বাংলাদেশের শিল্পী আবদুল হাই দেওয়ান এবং ভাবনা নৃত্যদল ছাড়াও গান করেন পোল্যান্ডের দিকান্দা, ভারতের ওয়াড়ালি ব্রাদার্স ও সাত্যকি ব্যানার্জি।
আয়োজকেরা জানান, দেশের লোকসঙ্গীতকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং এর সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতাই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। সঙ্গীতের রতœভাণ্ডারকে বিশে^র দরবারে পরিচিত করার এ ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।
অনুষ্ঠানটি মাছরাঙা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস-বায়োস্কোপ লাইভে তা দেখাচ্ছে। গতকাল যারা গান গেয়েছেন তাদের মধ্যে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় লোকসঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগম। প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতির কাছে সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি। তারপর বাউল রাজ্জাক দেওয়ান ও শেষে আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন। দুই দশকের বেশি সময়ের সঙ্গীতজীবনে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার।
‘স্বরব্যাঞ্জো’ এটি একটি ফোক-ফিউশন ব্যান্ড। রাজশাহীতে যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। তার পর থেকে এর সদস্য বাড়ছেই। এই ব্যান্ড সবাইকে নিজেদের সহচর মনে করে। ব্যান্ডটি গান-বাজনা (২০১৫) এবং হাওয়ার চিঠি (২০১৬) নামে দুইটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে।
‘লস টেক্সম্যানিয়াকস’ যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৭ সালে লস টেক্সম্যানিয়কস ব্যান্ডের যাত্রা শুরু। টেক্সসভিত্তিক দলটির মূল প্রেরণা কনজুন্তো তেহানো সঙ্গীত। তবে তাদের সঙ্গীতে আছে রক অ্যান্ড রোল ও জ্যাজের প্রভাব। এরই মাঝে দলটি ২০১০ সালে সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার গ্র্যামি ঘরে তুলেছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্সবাকা।
‘মাজাজ’ বাহরাইন, বাহরাইনের প্রপ্রেসিভ ফিউশন ব্যান্ড মাজাজের যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে। প্রথম দিকে লাইভ পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকের মন জয় করার পর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মুক্তি পায় তাদের প্রথম সিঙ্গেল। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে স্টুডিও রেকর্ড ‘রিহলা’ প্রশংসিত হয় বিশ্বব্যাপী। নানা যন্ত্রের অসাধারণ মিশেলের সাথে ফোক প্রগ্রেসিভ সঙ্গীত মাজাজকে এনে দেয় বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
‘দ্য রঘু দীক্ষিত প্রজেক্ট’ ভারত, ভারতের লোকসঙ্গীত ঘরানার জনপ্রিয় নাম দ্য রঘু দীক্ষিত প্রজেক্ট। রঙিন ফতুয়া আর লুঙ্গি পরে অভিনব সব পরিবেশনা করে তারা। আধুনিক সঙ্গীতের সাথে ভারতের নানা লোকজ সুরের মিশেল তাদের গানকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। বিশেষ করে ভারতের কান্নাড়া কবিতার রেশ থাকে তাদের গানে।


আরো সংবাদ



premium cement