২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পিইসি পরীক্ষায় থাকছে না এমসিকিউ

রোববার থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা

পরীক্ষার্থী কমেছে প্রাথমিকে : বেড়েছে ইবতেদায়িতে
-

গত বছরের সব ক’টি বিষয়ের পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ফাঁস হওয়ায় এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকছে না। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গতকাল সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য ও সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ নম্বর করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘ দিন এমসিকিউ পদ্ধতির সাথে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে প্রশ্নপদ্ধতিতে এ পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব পড়বে কি না এবং এমসিকিউ শিক্ষা ব্যবস্থার তি করেছে কিনা জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা ও প্রশ্ন পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে পারে এবং হচ্ছেও। আগে ভালো ছিল এখন হয়তো আরো ভালো হবে। মন্ত্রী আরো জানান, এমসিকিউ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বছরের শুরুতেই নেয়া হয় এবং সে অনুসারেই পাঠদান চলেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোর মতো এবারো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছি। উল্লেখ্য, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে গত বছর থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ আটটি অঞ্চলে ভাগ করে আট সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
অন্য একপ্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের কারণে ফল প্রকাশ এবং বই বিতরণে কোনো সমস্যা হবে না। নির্ধারিত দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামী রোববার ১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। সমাপনী পরীক্ষায় এবার ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন ুদে শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন এবং ইবতেদায়িতে তিন লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষা। গত বছরের তুলনায় প্রাথমিকে ২৮ হাজার ৮২৬ জন কম। ইবতেদায়িতে গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার ৪৭২ জন ছাত্রছাত্রী বেশি। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, ২০১৮-এ ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৮৬ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিন হাজার ২৯৪ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে, এরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বেশি পাবে। বাংলাদেশের বাইরে বিদেশের (মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে) ১২টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সমাপনী পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সাত হাজার ৪১০টি কেন্দ্রে রোববার থেকে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হবে। দুর্গম এলাকার ২০৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম অবহেলা বা অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক ড. মো: আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির, অতিরিক্ত সচিব সচিব মো: গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
প্রাথমিক সমাপনীর সূচি
১৮ নভেম্বর ইংরেজি, ১৯ নভেম্বর বাংলা, ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ২২ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৫ নভেম্বর গণিত এবং ২৬ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা।
ইবতেদায়ি সমাপনীর সূচি
১৮ নভেম্বর ইংরেজি, ১৯ নভেম্বর বাংলা, ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২২ নভেম্বর আরবি, ২৫ নভেম্বর গণিত এবং ২৬ নভেম্বর কুরআন ও তাজবিদ এবং আকাইদ ও ফিকাহ।


আরো সংবাদ



premium cement