২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এ বছর আমন উৎপাদনে ব্যয় বেড়েছে সামান্যই

-

এবার আমন উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। প্রতিকেজি ধানে বেড়েছে ৬৭ পয়সা ও চালে ৮৮ পয়সা। গত বছর এ ব্যয় বৃদ্ধি ছিল আগের বছরের চেয়ে ধানে পাঁচ টাকা ৬৩ পয়সা ও চালের ব্যয় আট টাকা দুই পয়সা। এ দিকে সরকার এ বছর আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করেছে প্রতিকেজি ধানে ২৫ টাকা ৩০ পয়সা ও চালের ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর এই ব্যয় ছিল প্রতিকেজি ধানে ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা আর চালে ৩৭ টাকা দুই পয়সা। তবে ফসল উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট খরচগুলো প্রায় গত বছরের মতোই আছে। এ জন্য এবার উৎপাদন ব্যয় সামান্য বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমন ফসলের উৎপাদন ব্যয় প্রাক্কলন সংক্রান্ত এক সভায় আমনের এ উৎপাদন মূল্য নির্ধারণ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, পরিকল্পনা ও সমন্বয়) মোহাম্মদ নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এখন আমনের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ফাইল মন্ত্রীর কাছে যাবে। তিনি অনুমোদন দিলে এটি চূড়ান্ত হবে। চলতি অর্থবছরের কৃষকের ব্যবহার্য জৈব সার, শ্রমের মজুরি (পারিবারিক ও ভাড়াকৃত শ্রম), জমি কর্ষণ বাবদ খরচ, সেচ ও ধান থেকে চাল করার মিলিং খরচ (সিদ্ধ ও পরিবহনসহ) বিবেচনায় নিয়ে আমনের এ উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, খুব শিগগিরই আমন কাটা শুরু হবে। কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পান এ জন্য আগেই ধান ও চালের উৎপাদন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সরকার এই দামেই অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আমন কিনে থাকে।
বোরোর পর আমনই দেশের সবচেয়ে বড় ফসল। সরকার প্রতি মওসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে তিন লাখ টনের মতো আমন চাল সংগ্রহ করে থাকে। গত অর্থবছরে সংগ্রহ কার্যক্রম ৩ ডিসেম্বর শুরু হয়, আর শেষ হয় চলতি বছরের ৭ মার্চ। গত মওসুমে প্রতিকেজি ৩৯ টাকা দরে ছয় লাখ এক হাজার ৯৮৪ টন আমন চাল সংগ্রহ করেছিল সরকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement