২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে

মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-

‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে এখন যা ঘটছে তা নির্বাচনের দিনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ’ মন্তব্য করে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল জনগণের কাছে যাতে তাদের মতামত ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে পারে- তা নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কে জনগণকে নেতৃত্ব দেবে তা বাংলাদেশের মানুষই ঠিক করবে। জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন একটি নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে আমি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানিয়েছি।
বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষে গতকাল হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলিস ওয়েলস এসব কথা বলেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর সাথে সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের সাথে বৈঠক করেন। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবাদের মুখেও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পাস হওয়া সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্বের সর্বত্রই মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। সামাজিক যোগাযোগ ও ইন্টারনেটের মতো ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপত্তা জোরদারে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা রয়েছে। তবে এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুশাসন নিশ্চিত বা দুর্নীতি উদঘাটনে সংবাদমাধ্যমের অধিকার যাতে ক্ষুণœ না হয়- সে দিকে নজর রাখতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে। আইনটিকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের সাথে নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের সংলাপ হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
ড. কামাল হোসেনের ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতি য্ক্তুরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে- এমন একটি প্রচলিত ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে মার্কিন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
মার্কিন মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতুবন্ধনে বাংলাদেশের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের কেন্দ্রতেও রয়েছে বাংলাদেশ। অবাধ, মুক্ত, আইনভিত্তিক ও আন্তঃসংযুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বাংলাদেশ সহমত পোষণ করে। তিনি বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোডের পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল উত্থাপন করছে না। এটি স্বতন্ত্র একটি ধারণা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য চার কোটি ডলারের বৈদেশিক সামরিক অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশের উপকূলীয় রাডার ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, টহল নৌযান বহরের আধুনিকায়ন ও সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement