১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ও বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ সম্মেলন ৪-৫ জানুয়ারি

-

আগামী বছরের ৪-৫ জানুয়ারি ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ও বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন’ বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) যৌথ আয়োজনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
তোপখানা রোডে শিশুকল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ও বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল মতিন। বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্মসম্পাদক মিহির বিশ^াসের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনবিষয়ক বিভিন্ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবÑ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, শরীফ জামিল ও সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। বাপার যুগ্ম সম্পাদক জাহেদুর রহমানসহ বাপা-বেনের অন্য নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট গবেষক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ সম্মেলনের ল্য, উদ্দেশ্য ও সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে বলা হয় সরকার প্রস্তাবিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ সম্পর্কে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে অবহিত করা হচ্ছে মূল কাজ। পাশাপাশি বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়নকারীদের এ পরিকল্পনা দেশের পরিবেশ আন্দোলনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের কাছে তুলে ধরা ও ব্যাখ্যার সুযোগ করে দেয়াই আয়োজকদের উদ্দেশ্য। বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ দলিলের ওপর দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা পরিবেশনের সুযোগ দেয়াসহ পরিবেশ আন্দোলনের সদস্য এবং সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ দেয়াই এ সম্মেলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করতে গিয়ে অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, দেশবাসীর স্বার্থে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ভালো এবং মন্দ দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা বাপার নৈতিক দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে বাপা-বেন ২০১৯ সালের ৪-৫ জানুয়ারি বদ্বীপ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে এ প্রকল্পের ভালো ও মন্দ দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
ডা: মো: আব্দুল মতিন বলেন, এ সম্মেলনে বাপা ও বেন সরকারি বদ্বীপ পরিকল্পনাটিকে একটি ইতিবাচক বিতর্কের মাধ্যমে মূল্যায়ন ও তার প্রয়োজনীয় সংশোধণ নিশ্চিত করতে চায়। এতে ব্যাপক সংখ্যক বিষয়-সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এবারের লক্ষ্য গত ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
জাকির হোসেন বলেন, সরকারকে যেকোনো বড় প্রকল্প করতে হলে জনগণকে প্রাধান্য দিয়েই করতে হবে। জনগণের সাথে প্রকল্পের ভালো ও মন্দ দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। যাদের জন্য এ প্রকল্প করা হচ্ছে তাদের দুঃখ-দুর্দশা, ভালো-মন্দ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে বসতে হবে। স্থায়িত্বশীল ও জনমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
শরীফ জামিল বলেন, সম্মেলনে সাধারণ অধিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এত সরকারি নীতিনির্ধারক, ভুক্তভোগী জনগণ, আন্দোলনকারী এবং ভুক্তভোগী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ দিকে এসব বিষয় নিয়ে সম্মেলনে একটি স্যুভেনির প্রকাশ করা হবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাপা বরাবর এসব বিষয়ে লেখা পাঠানো ও কোনো বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাপা সাধারণ সম্পাদক বরাবর ফোন : ০১৮১৯২২৩৩৪৩, ফোন ও ফ্যাক্স: ৫৮১৫২০৪১, ই-মেইল : সবসড়ৎু১৪@ধমহর.পড়স, নধঢ়ধ২০০০@মসধরষ.পড়স যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement