২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংলাপ ডাকুন : নজরুল ইসলাম

আফসার আহম্মদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম খান : নয়া দিগন্ত -

অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারকে সংলাপ ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমরা সরকারকে অনুরোধ করবÑ জনগণের যেসব ন্যায্য দাবি তা নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক। সেখানে যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান বের করে একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হোক।
জাতীয় প্রেস কাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলে এই আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আফসার আহম্মদ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন। মরহুম নেতার সহধর্মিণী ও বিএনপির নার্সেস-বিষয়ক সহসম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক সিকদার, আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ছেলে জামিল আহম্মদ সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সংবিধান বলে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন সরকার ইসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দান করবে। কিন্তু আমরা দেখি দলীয় সরকার থাকে মতায়। সেই সরকার সহযোগিতা করে না প্রভাবিত করে। আমরা প্রভাবিত করার সরকার চাই না, আমরা সহযোগিতার করার একটা সরকার নির্বাচনকালে থাকুক এই দাবি করছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন ড. কামাল হোসেন জিরো। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আপনার দল ও অন্যান্য দল কামাল হোসেনের থেকে যোগ্য প্রার্থী তখন খুঁজে পায়নি। তাকে প্রার্থী করেছিলেন রাষ্ট্রপতি পদে। আজকে তিনি জিরো। স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রব আপনাদের গত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন সেও জিরো। আর আপনি সরকারি চাকরি করে এরশাদের উপদেষ্টা, মন্ত্রী হলেন, আওয়ামী লীগের এখানে এসে মন্ত্রী হলেন। এখন আপনি প্লাস হয়ে গেলেন। আর যে বিএনপি বারবার আপনাদেরকে পরাজিত করে সরকার গঠন করেছে সেই বিএনপিও আপনার কাছে জিরো। তাহলে প্লাসটা কে? আপনাদের যে শাসনামল এই আমলে রাজনৈতিক কোনো দলকে প্লাস রাখার ব্যবস্থাই রাখেননি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা তো আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি না। আমি যখনই মিছিল-মিটিং করতে যাই, তখনই আমার সামনে দাঁড়ায় পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি, আওয়ামী লীগ না। আইনি অস্ত্রধারী বাহিনী আওয়ামী লীগ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, ভোট কেটে নির্বাচিত করছে। যে সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সেখানে নির্দলীয় সরকারের দাবি নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচনকালে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের দাবি, ইভিএম বাতিলের দাবি, সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার দাবিÑ এগুলো কোনোটাই অন্যায় দাবি নয়। মরহুম আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। তার মতো প্রজ্ঞাবান ও আদর্শ রাজনীতিবিদ কমই আছে। সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আফসার আহম্মদ সিদ্দিকী শহীদ জিয়াউর রহমানের একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। ৭, ৮ ও ৫ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৩ সালে যশোর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement