নিম্নতম মজুরি বোর্ডে গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আপত্তিপত্র

গার্মেন্ট শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত সব শ্রেণীর শ্রমিকের জন্য নি¤œতম মজুরি হারের খসড়া সুপারিশ, ২০১৮-এর বিষয়ে আপত্তিপত্র এবং গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সুপারিশগুলো নি¤œতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ১২টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে এ আপত্তিপত্র দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জোটের আহ্বায়ক ও গার্মেন্ট শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের উপদেষ্টা শামীম ইমাম, গার্মেন্ট টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, ও এসকে গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মো: ইয়াসিন, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের নেতা মমিনুর রহমান, গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা ফখরুদ্দীন কবির আতিক, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মুজিব, গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের আহ্বায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, গার্মেন্ট শ্রমিক সভার সভাপতি শামসুজ্জোহা, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি অরবিন্দ ব্যাপারী বিন্দু।
আপত্তিপত্রে বলা হয় গত ৮ অক্টোবর গার্মেন্ট শিল্প খাতের সব শ্রেণীর শ্রমিকদের জন্য নি¤œতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক মজুরি হারের খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়া সুপারিশমালায় সব গ্রেডের শ্রমিকদের যে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের বিস্মিত ও হতাশ করেছে। কেননা এই শিল্পের প্রায় ৯০ ভাগ শ্রমিকই হচ্ছেন সপ্তম থেকে তৃতীয় গ্রেডের। তাদের জন্য যে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের মুদ্রস্ফীতি হিসাব করলে তাদের প্রকৃত মজুরি মোটেও বৃদ্ধি পায়নি বরং কমেছে।
এতে বলা হয়, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্ট খাতের শ্রমিকদের জন্য ইনক্রিমেন্ট শতকরা ৫ ভাগ বহাল রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের দাবি হচ্ছেÑ শতকরা ১০ ভাগ হারে ইনক্রিমেন্ট ঘোষণা অথবা দ্রব্যমূল্যের সাথে তথা জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ভেরিয়েবল ডিএ দেয়া।