২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ওয়াহিদুল আলমের শোকসভায় আমীর খসরু

জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ায় দেশের মানুষ নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে

সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের শোকসভায় বক্তৃতা করছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : নয়া দিগন্ত -

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ায় দেশের মানুষ নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। স্বৈরাচরী সরকার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই জাতীয় ঐক্য মুক্তির সনদ এনে দেবে। ভাষা আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যেখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেখানে স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছে। দেশের মানুষ আজ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যারা ঐক্যের পে থাকবে না, তারা জাতির কাছে কলংকিত, তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। এবারের আন্দোলন হবে নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য, নিরাপদে ভোট দেয়ার জন্য, নিরাপদ পুলিশের জন্য ও জাতির নিরাপত্তার জন্য। নিরাপদ গণতন্ত্রে আইনের শাসন থাকতে হবে।
তিনি গত শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দণি জেলা বিএনপির উদ্যোগে নাসিমনভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশকে নিরাপদ বলা যায় না। আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার, গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করার। ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট কারচুপির নির্বাচন করার। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচন করার। বিএনপির নির্ভরতা দেশের জনগণের উপর। তাই বেগম জিয়াকে জেলে রেখে অসম যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে তা হবে না। বেগম জিয়াকে মুক্ত করেই এ দেশে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। রাজনীতিবিদদের কাছে মানুষ যে ধরনের জীবন যাপন আশা করে ওয়াহিদ্লু আলম ছিলেন তার থেকে ব্যতিক্রম। তিনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
প্রধান বক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়া যখন জাতীয়তাবাদী যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমি ও ওয়াহিদুল আলম এক সাথে কাজ করেছি। তিনি দলের জন্য ৪০ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছেন। ওয়াহিদুল আলম ছিলেন গণমানুষের নেতা, মাটি ও মানুষের নেতা।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার আরেকটি ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করার জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। এখন দেশের যে অবস্থা চলছে, মনে হচ্ছে কবরস্থানও পাহারা দিতে হবে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গতকাল যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তারা পারে নাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর থেকে হাড্ডি তুলে আনতে। তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আরেকটি কালো আইন করে গণমাধ্যেেমর বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তারা তারেক রহমানের তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে তাকে আরেকটি মিথ্যা সাজা দেয়ার পাঁয়তারা করছে।
শোকসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবীর, গোলাম আকবর খন্দকার ও এস এম ফজলুল হক ফজু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দণি জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন দণি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, দণি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর জেলা বিএনপির এম এ হালিম, সালাহউদ্দিন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মুক্তি, হারুন জামান, সোহরাব কোম্পানী, লায়ন কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, দণি জেলা বিএনপির এনামুল হক এনাম, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন, আলী আব্বাস, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, শাহেদ বক্স, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, আমিনুর রহমান চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, শিহাব উদ্দিন মবিন প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement