২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে এখনো থামেনি সেনা ও মগের বর্বরতা

-

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা করে গণকবর দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তদন্ত শুরু করলেও থামেনি রোহিঙ্গা নির্যাতন। ফলে এখনো রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছেন। বুচিডংয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের আটক করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় এবং রোহিঙ্গাদের শ্রম আদায় অব্যাহত রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগে জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনো বিশ্ববাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এ দিকে রাখাইন থেকে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা যাতে এপারে চলে আসতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি তৎপর রয়েছে।
রাখাইনে প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়ছে। গত এক সপ্তাহে বুচিডংয়ের একটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করেছে মিয়ানমারের সেনারা। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে উগ্রবাদী মগেরা।
রোহিঙ্গা সূত্র জানায়, গত সোমবার মধ্যরাতে বুচিডংয়ের হাদং গ্রামে মিয়ানমারের সেনারা অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে চারটি ঘর, একটি ধানের মিল এবং একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অপর দিকে মংডুর কাজীবিলের ডেলপাড়ার হাজী আবদুর রহমানের বাড়ি নির্মূল করেছে সেনারা। একই দিন একদল সেনা ডেলই পাড়ায় গিয়ে ওই বাড়ির লোকজনকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে ঘরটি গুঁড়িয়ে দেয়। অন্য দিকে বুচিডংয়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহাব মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় উগ্রবাদী মগের হামলার শিকার হন।
বুচিডংয়ে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের আটক করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় এবং সরকারি কাজে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম আদায় করছে। রোহিঙ্গাদের সূত্র জানিয়েছে, রাস্তাঘাট ও গ্রাম থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করে মুক্তিপণ দাবি করে সৈন্যরা। আটকদের স্বজনেরা দাবিকৃত টাকা দিতে সক্ষম হলে মুক্তি মিলে, অন্যথায় নির্যাতন করে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মিনগিছির বাসিন্দা আবদুল মজিদের ছেলে তোহা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে তাকে আটক করে সেনারা। যদিও তিনি গ্রাম প্রশাসক থেকে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতিপত্র নেন। পরে তংবাজারের সেনা কমান্ডার তিন লাখ কিয়াট আদায় করে তাকে মুক্তি দেয়। একই ঘটনা বুচিডংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে। অন্য দিকে মিনগিছি ও আশপাশের গ্রামের রোহিঙ্গাদেরকে সেনাবাহিনীর কৃষি ফার্মে জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করছে। শ্রমের কোনো মজুরি দেয় না সেনারা। উপরন্তু শ্রম না দিলে কিংবা অসুস্থ হলেও মারধর করা হয়। রাতের বেলা গ্রামে গ্রামে রোহিঙ্গাদেরকে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেও বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দিকে টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা নাফ নদের শূন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদশে ঢুকার চেষ্টা করছে। এ জন্য বিজিবি জাওয়ানরা সীমান্তে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল