১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কেরানীগঞ্জে পিতা-পুত্র হত্যা মামলায় ৫ জনের ডাবল মৃত্যুদণ্ড

-

২৫ বছর আগে কেরানীগঞ্জে পিতা-শরীফ ও শিশুপুত্র খোকনকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচজনকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ বজলুর রহমান বেলা ২টায় জনাকীর্ণ আদালতে এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া শরীফ হোসেনের ছেলে শাহজাহানকে কুপিয়ে আহত করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে আরো পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। রায় দেয়ার সময় ভিকটিমের দুই ছেলে আব্দুর রহিম ও শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। তারা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে পলাতক দুই আসামি তাদের প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বলে তারা আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। এ জন্য তারা সরকারের কাছে নিরাপত্তার লক্ষ্যে আবেদন জানান।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি রুহুল আমীন, এপিপি মো: আজহার ও এপিপি ভোলানাথ।
যাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন তারা হলো : শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, মো: আরিফ ও মো: মাসুদ। আসামিদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি মো: আরিফ ও মো: মাসুদ পলাতক। তাদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। প্রত্যেক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে এবং পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাথে তাদের প্রত্যেককে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাভোগের আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ২১ জুলাই আলোচিত এ মামলায় ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: কামরুল ইসলাম মোল্লা উল্লেখিত পাঁচ ব্যক্তিকে পিতা-পুত্র হত্যার অপরাধে ডাবল মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের বরিশুর বাজারের পশ্চিম পাশে মালোপাড়া সংলগ্ন নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯) ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসে। বাবার কাছে রাতের পড়া শেষে তারা দোকানের পেছনের রুমে ঘুমাতে যায়। রাত আনুমানিক ৩-৪টায় আসামিরা দোকানে এসে বাকিতে সিগারেট ও কিছু মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানালে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। তার চিৎকারে ছোট ছেলে এগিয়ে এসে বাবাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আসামিরা তাদেরও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তার শিশুপুত্র খোকন মারা যান। ওই ঘটনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদি হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির ১৯৯৪ সালে ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: কামরুল হোসেন মোল্লা (বর্তমানে বিচারপতি) এ মামলায় ১৮ জন সাীর স্যা গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের ডাবল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আসামিরা এ মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালত মামলাটি বিচারিক আদালতকে আসামিদের পে পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে পূর্ণ বিচার করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আসামিদের পে পৃথক পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। আদালত উভয়পরে যুক্তিতর্ক শেষে ফের মামলাটির রায় প্রদান করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি

সকল