১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অভিমত পরিবেশবাদীদের

ঢাকা বাঁচাতে দরকার কার্যকর সমন্বিত পরিকল্পনা

-

ঢাকাকে বাঁচাতে একটি কার্যকর সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঢাকার সংশ্লিষ্ট ৫৪টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং নগর পরিকল্পনাবিদ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জন অধিকার বিশেষজ্ঞ প্রমুখের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে ঢাকা শহরকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
গতকাল পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদীরা এ কথা জানান। ‘অবসবাসযোগ্য নগরীর তালিকায় অন্যতম ঢাকা : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান। পবার সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: লেলিন চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো: তৈয়ব আলী, সহসম্পাদক ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, গ্রিন ফোর্সের সমন্বয়ক মেসবাহ সুমন ও নবযাত্রা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: আজমল হোসেন।
মূল বক্তৃতায় বলা হয়, ঢাকা সাত বছর ধরে বসবাসেরর অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ নম্বরে ওঠানামা করছে। আমরা ঢাকার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে লক্ষ্য করি ঢাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৬৩ শতাংশ। এ শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় দুই লাখ লোক বাস করে। শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ হচ্ছে ঢাকায়। দেশের জিডিপির ৩৫ শতাংশ ঢাকা থেকে আসে এবং দেশের সামগ্রিক কর্ম সামর্থ্যরে ৩০ শতাংশ ঢাকাতে বসবাস করে। ঢাকার বস্তিগুলোর জনঘনত্ব বাংলাদেশের একটি সাধারণ গ্রামের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকার অবস্থাকে বিশ্লেষণ করতে হবে।
ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে পবার পক্ষে পেশকৃত সুপারিশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই সিটি করপোরেশন, রাজউক, ওয়াসা, ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশসহ ঢাকা নগরসংশ্লিষ্ট ৫৪টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে ছয় মাসের মধ্যে বসবাসযোগ্য ঢাকার একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। এই ওয়ার্কিং কমিটিতে শহরে বসবাসের উপযোগিতার সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা যেমন নগর-পরিকল্পনাবিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদীসহ এ সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় সরকার, স্থানীয় সরকার এবং জনগণ যুক্ত থাকবে। এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি অবহিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করব প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঢাকা মহানগরীর উন্নয়ন পরিকল্পন্ াজনসম্মুখে প্রকাশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ঢাকা শহর বর্তমানে সেবা প্রদান এবং উৎপাদন দুই ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। ঢাকা শহরভিত্তিক এই উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডকে ক্রমান্বয়ে ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। ঢাকা শুধু কেন্দ্রীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্র হবে। এ জন্য সারা দেশে কার্যকরী প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণের যে নিদের্শনা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত হয়েছে, তা যত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল