২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যশোরে পুঁজি সঙ্কটে ব্যবসায়ীরা : চামড়া পাচারের আশঙ্কা

-

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এখানে ছোট-বড় মিলে তিন শতাধিক চামড়ার আড়ত রয়েছে। রাজারহাটে ছোট-বড় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় সাত হাজার পরিবার চামড়া ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। সারা বছরই এ হাটে চামড়া বেচাকেনা হলেও কোরবানির ঈদের বাজার ধরতে অনেকটা তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গ্রাম থেকে চামড়া কিনে ব্যবসায় নেমে পড়েন মওসুমি ব্যবসায়ীরাও।
ঈদের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি থাকলেও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া না পেয়ে হতাশায় আছেন এ বাজারের ব্যবসায়ীরা। ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা বকেয়া পরিশোধ না করায় আসন্ন ঈদে চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। অন্য দিকে সরকার নির্ধারিত চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করায় ভারতে পাচার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ট্যানারি মালিকেরা গত তিন বছরের পাওনা টাকা পরিশোধ করছেন না। এতে অনেকটা পুঁজিশূন্য হয়ে পড়েছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে আসন্ন কোরবানির ঈদে অর্থাভাবে আশানুরূপ চামড়া কেনা হবে না তাদের। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারতে পাচার হয়ে যাবে সীমান্তবর্তী যশোর জেলা ও আশপাশ এলাকার চামড়া। ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহত্তর এ চামড়াহাটে ব্যবসায়ীদের ট্যানারি মালিক ও অনেক পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গত কোরবানির ঈদের বাজার থেকে এসব টাকা বকেয়া থাকলেও আজ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করেননি ট্যানারি মালিকেরা। সামনে কোরবানির অল্প সময় বাকি থাকলেও এখনো তারা টাকা হাতে না পাওয়ায় অনেকটা আর্থিক সঙ্কটে আছেন।
এ দিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার, যা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারা দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২০ থেকে ২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। তবে মহিষের চামড়ার দামের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
রাজারহাট চামড়াহাটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব বলেন, প্রতি বছর সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে দামে চামড়া কেনেন না ট্যানারি মালিকেরা। নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকেরা চামড়া না কেনায় বিপাকে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।
বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, বকেয়া পরিশোধ নিয়ে ট্যানারি মালিকদের টালবাহানার কারণে চামড়া ব্যবসার ঈদের এ প্রধান মওসুমে বড় লোকসানে পড়তে হবে এখানকার ব্যবসায়ীদের। তিনি বলেন, চীনের বাজারে আমেরিকার ভ্যাট বাড়ানোর কারণে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের চামড়াবাজারে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চায়না কোম্পানি চামড়া এক্সপোর্ট ক্যানসেল করেছে, যে কারণে বেশির ভাগ ট্যানারিতে চামড়া মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় সামনে কোরবানির বাজারে ট্যানারি মালিকেরা কী করবে তা নিয়ে অশ্চিয়তায় রয়েছি আমরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১

সকল