৯ দিনেও খোঁজ মেলেনি র্যাবের সাবেক অধিনায়ক হাসিনুরের
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
৯ দিনেও খোঁজ মেলেনি র্যাবের সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান ডিউকের। তাকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপের্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান নিখোঁজ হাসিনুরের স্ত্রী শামীমা রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের জন্য আমরণ সময় দেন সেনা কর্মকর্তারা। লড়াই করেন দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখতে। দেশের জন্য লড়াই করে বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন হাসিনুর রহমান। প্রতিদান হিসেবে সেই অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানকে বাসার কাছ থেকে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তার সন্ধান দিতে পারছে না। স্বামীর সন্ধান না মেলায় আমি অসহায়। দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। নিরুপায় হয়ে স্বামীকে উদ্ধারের জন্য স্ত্রী হিসেবে দেশের ও সেনাবাহিনীর অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শামীমা রহমান আরো বলেন, আমার স্বামী কোনো দোষ করেনি, তিনি একজন দেশপ্রেমিক সাধারণ মানুষ। স্বজন হারানোর বেদনা প্রধানমন্ত্রী বুঝবেন, তাই ওনার কাছে আমার দাবিÑ আমার স্বামীকে খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করবেন।
তিনি বলেন, গত ৮ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টায় মিরপুরের পল্লবীর ডিওএইচএসের বাসার সামনে থেকে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরা কয়েকজন লোক হাসিনুর রহমানকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি উল্লেখ করে গত ৯ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মলনে শামীমা রহমানের ভাই ওয়াখিল, ডা: এহতেশামসহ বেশ কয়েজন নিকটাত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তিনি একসময় র্যাব-৫ ও র্যাব-৭-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বিজিবিতেও বেশ কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দণ্ডিত হয়ে পাঁচ বছর জেল খেটে ২০১৪ সালে মুক্তি পান তিনি।
জানা গেছে, হাসিনুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ৭৯২ নম্বর বাড়ির সামনের রাস্তায় হাসিনুরের লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পল্লবী থানায় একটি জিডি করা হয়, যার নম্বর-৬৪২।
হাসিনুর রহমানের স্ত্রী শামীমা রহমান জিডিতে অভিযোগ করেছেন, বুধবার রাত ৯টায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে হাসিনুর বাসা থেকে বের হয়ে যান। দেখা শেষ করে ১০টার পর বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। ১০টা ২০ মিনিটের দিকে বাসার ঠিক কাছেই ৭৯২ নম্বর বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে চার-পাঁচজন ব্যক্তি নেমে হাসিনুরকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। ওই সময় হাসিনুর চিৎকার করতে থাকেন। মাইক্রোবাস থেকে নামা ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সময় হাসিনুরের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে তারা তাকে মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা