১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জামায়াতের সাথে জোট আছে থাকবে : মওদুদ

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছেন মওদুদ আহমদ : নয়া দিগন্ত -

২০ দলীয় জোটে বিভক্তি আনতেই জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সরকার নানা ধরনের কৌশল করছে, ষড়যন্ত্র করছে যাতে করে আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিভিন্ন খবর দিয়ে আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তাদের সে চেষ্টা নিষ্ফল হবে। আমাদের জোট আছে এবং থাকবে।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি : গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, সিলেটে একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছেÑ এটা এমন কোনো নির্বাচন না। তারা (জামায়াত) দলীয় একজন প্রার্থী দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাদের সাথে সমঝোতায় আসতে। আমরা বলতে চাই, জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি এক জিনিস আর স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতি আরেক জিনিস।
সরকার হটাতে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করা হবে জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।
কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে কোটা আন্দোলনে চারজন রিমান্ডে আছে এবং ৮-১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো বেশিও হতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর এখন যে নির্যাতন চলছে তা একটা জিনিসই প্রমাণ করে, এই সরকার একটি স্বৈরাচারী সরকার। এই গণতন্ত্র স্বৈরাচারী গণতন্ত্র, এই গণতন্ত্র এক ব্যক্তির গণতন্ত্র। এটাই তারা বার বার প্রমাণ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা থাকা সোনায় অনিয়মের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, এটা স্বাভাবিক বাংলাদেশ ব্যাংক বলবে এখানে কোনো চোর নাই, কোনো চুরি হয় নাই। এর আগে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৮ শ’ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে গেল। আগে হয়েছে টাকা চুরি এখন হয়েছে সোনা চুরি।
তিনি বলেন, এত বড় চুরির পরও একজন সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয় নাই। কেন? নিশ্চয়ই তাহলে সরকারের মদদপুষ্ট মানুষ এর পেছনে রয়েছে। না হলে তো কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমরা জানি দেশে এখন দুই রকমের আইন চলে। একরকমের আইন হচ্ছে সরকারের পক্ষের লোকের জন্য, আরেক রকমের আইনের প্রয়োগ হলো বিরোধী দলের জন্য। আজকে দেশে যে আইনের শাসন নাই- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বন্ধুদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তৈরি স্বাধীনতা পদকে সোনায় খাদের ঘটনায়ও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান মওদুদ।


আরো সংবাদ



premium cement