২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চায় বিএনপি

-

গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদের প্রত্যাহার দাবি করেছে বিএনপি। এ দাবি নিয়ে গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাাৎ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি।
ইসি সূত্র জানায়, বেলা ২টার পর নির্বাচন কমিশনে আসে বিএনপির প্রতিনিধিদলটি। সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ড. মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বরকতউল্লাহ বুলু।
মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ভালো নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে না, বরং স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন অঙ্গ সেসব নির্দেশনার উল্টোটা করছে। সরকারের প্রশাসন নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এখন পুলিশ গিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করলে তো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হলো না। পুলিশের কাজ তো নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা নয়। কিন্তু খুলনায় অনেক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন মানুষের কারণে পুরো নির্বাচন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। সেই ব্যক্তিকে প্রত্যাহার করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। সেই ক্ষমতা আপনারা ব্যবহার করুন। সেই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করুন।
বিএনপি গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, আশঙ্কা করছি বলেই তো কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। তিনি বলেন, সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা অতীতেও সহযোগিতা করেছি এ নির্বাচনেও সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, বর্তমানে নির্বাচনে ভোট কারচুপির ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন পর্দার অন্তরালে ভোট কারচুপি হচ্ছে। খুলনা সিটি নির্বাচনে আমার এ প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। এ প্রক্রিয়া এখন আমরা গাজীপুরেও ল করছি। জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, ইসি যদি তার সঠিক মতা প্রয়োগ করে তাহলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সেটি তারা করছে না। প্রশাসনের হস্তেেপ তারা মতার অপব্যবহার করছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সবাই দেখেছে। আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাই গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক। ড. মঈন খান বলেন, আজ থেকে ছয় মাস পর জাতীয় নির্বাচন। সরকারদলীয় প্রার্থী সরকারি খরচে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ বিরোধী দলকে একটি মিটিংও করতে দেয়া হয় না, একটা মিছিল করতে দেয়া হয় না। এটি বাস্তবতা। গাজীপুরে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে না পারলে এর প্রভাব গাজীপুরে না শুধু, সারা দেশে পড়বে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করেন কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুলনায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আশঙ্কা না করার কোনো কারণ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement