২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কৃষিবিজ্ঞানীদের আরও গবেষণা বাড়াতে হবে মতিয়া চৌধুরী

জাতীয় ফল মেলায় প্রদর্শিত বিভিন্ন মওসুমি ফল : নয়া দিগন্ত -

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দেশীয় ফলদ উদ্ভিদের জাত সুরক্ষার পাশাপাশি বিদেশী উন্নত ফল চাষের ক্ষেত্রে খাপ খাওয়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে আরও গবেষণা বাড়ানোর জন্য কৃষিবিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ এবং জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘দেশীয় ফলের জাতের সুরক্ষার পাশাপাশি আমাদের বিদেশী উন্নত ফলের উৎপাদন বা চাষের ক্ষেত্রে খাপ খাওয়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া মে থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে দেশে প্রায় যে ৬০ শতাংশ ফল পাওয়া যায় তার সময়সীমা যাতে বাড়ানো যায়, সেজন্য কৃষিবিজ্ঞানীদের আরও গবেষণা বাড়াতে হবে।’
‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’ প্রতিপাদ্যে ২২ জুন থেকে ৬ জুলাই দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮। এ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বরে ২২ থেকে ২৪ জুন তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল ফল মেলা উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি থেকে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮-এর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন পুষ্টিসমৃদ্ধ ফলের অবদান’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া বা দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ফলদ গাছ কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় ও ফলদ বৃক্ষের বিস্তার ঘটাতে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের আরও গবেষণা বাড়িয়ে এর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটা করা সম্ভব হলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। সেমিনারে কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক নির্মিত প্রতিপাদ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও জনগণকে সচেতন করতে পোস্টার, লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ফলদ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আলোচন করা হয়। মেলায় ৯টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮১টি স্টল অংশ নিয়েছে। মেলায় আমের ৭০টির বেশি প্রজাতিসহ প্রায় ২০৩ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে। এ ছাড়াও মেলায় রয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠালের একটি বিশেষ কর্নার। আয়োজকেরা জানান, মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন বলে তারা জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল