২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
শিশু নিনাদ হত্যা

পরিবারের সন্দেহ নেপথ্যে রয়েছে জমির বিরোধ

রহস্য খুঁজছে পুলিশ
-

জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই রাজধানীর খিলগাঁওয়ে শিশু সাফোয়ান আল নিনাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবার সন্দেহ করছে। তবে ঘটনার ছয় দিনেও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কু পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।
ঈদের দিন দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় বাসার পাশের একটি খোলা জায়গায় পণ্য বহনকারী ঢাকনাওয়ালা রিকশাভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় আট বছরের শিশু নিনাদের লাশ। চাঁদরাতে (শুক্রবার) সহপাঠী ও প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিল সে। এর পর থেকেই নিনাদ নিখোঁজ ছিল। ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা স্বপন ব্যাপারী বাদি হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমরা এখনো বেশি দূর এগোতে পারিনি। তবে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় মামাবাড়িতে বাবা-মা ও বোনের সাথে থাকত নিনাদ। তার বাবা স্বপন ব্যাপারী গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট, মা সোনিয়া আক্তার গৃহিণী। বোনটি তার ছোট।
নিনাদের মামা সাংবাদিক এস এম মুন্না বলেছেন, ওই এলাকায় জমি নিয়ে নিনাদদের পুরনো দ্বন্দ্বের কারণে মামারা ভাগ্নেকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
মুন্না বলেন, তার মা পেয়েছিলেন ৫ কাঠা জমি। কিন্তু মামা সালাউদ্দিন ও জহিরুল ইসলাম পুরো জমি না দিয়ে সাড়ে তিন কাঠা জমি তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে দেড় কাঠা জমির ভাগ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে মুন্নার মামারা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে এবং তার মা-বোন-খালাকে গুরুতর আহত করে বলে জানান। এ ঘটনায় মুন্না একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় সালাউদ্দিন ও জহিরুল ছাড়াও মুন্নার মামাতো ভাই ফিরোজ মিয়া, আরাফাত ও ফয়সালসহ আরো বেশ কয়েজনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে মুন্না ওই দেড় কাঠা জমি বুঝে পেয়ে নামজারি করেন। সম্প্রতি সেই জমিতে নিনাদদের পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করছিলেন তিনি। ঘরের কাজে হাত দেয়ার পর থেকে আবারো প্রতিপ হুমকি দিচ্ছিল বলে জানান মুন্না। তিনি বলেন, ধারণা করছি, প্রতিহিংসাবশত তারা তার ভাগ্নেকে খুন করছে।
মুন্না জানান, ঈদের দিন বেলা দেড়টায় তাদের বাসার কাছের রিকশা গ্যারেজের পাশে খালি প্লটে মার্বেল নিয়ে খেলতে খেলতে একটি শিশু রিকশাভ্যানের ভেতরে উঁকি দিয়ে নিনাদের লাশ দেখতে পায়। হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে মুন্নাদের বাড়ির অদূরে। নিনাদের গায়ে ছিল লাল রঙের হাতাকাটা টি শার্ট, পরনে হাফ প্যান্ট। রিকশাভ্যানের ভেতরে পলিথিন দিয়ে তার গলা বেঁধে রাখা হয়েছিল ভ্যানের রডের সাথে। এক পা ছিল মোড়ানো।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সকল