২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গরুর মাংস খেয়ে ‘হেনস্থা’ সৃজিত! দিলেন পাল্টা হুমকি

- ছবি : সংগৃহীত

বিয়ে-হনিমুন-শ্বশুরবাড়ির ভূরিভোজ শেষে ছবি শেয়ার করেছিলেন কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। সেখানে গোরুর মাংস দেখে রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছেন নেটিজেনরা। নীতিবাক্যের সাধে ধিক্কার জানায় পরিচালককে।

কেন তিনি হিন্দু হয়ে গোরুর মাংস খাবেন? প্রশ্নের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট করে লিখল নয়া গো-রক্ষক, 'হিন্দু নামে কলঙ্ক আপনি। আপনাকে খুব সম্মান করতাম। বাট এই পোস্টটা পড়ার পর থেকে আপনাকে এখন খুব ঘৃণা করি। আপনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করুন। আই হেট ইউ...'।

উত্তরে তাকে সাবধান করেন সৃজিত। বলেন, 'হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান।' এবং শেষে রীতিমতো সাবধান করে বলেন, 'বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।'

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ইদানিং হর-হামেশাই ট্রোলের শিকার হন। কখনো পোশাক নিয়ে। কখনো চলনবলন নিয়ে।

এবার ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী একজন পরিচালক কট্টর হিন্দুত্ববাদীর হাতে হেনস্থার শিকার। তাই সৃজিত অনুরাগীদের প্রতিবাদ, এর আগেও সৃজিত বাংলাদেশে গেছেন। খাওয়াদাওয়াও করেছেন। তখন তো কেউ জানতে চাননি, সৃজিত কী খেয়েছেন? খাওয়ার টেবিলে গরুর মাংস ছিল কিনা? এখন বাংলাদেশের জামাই হয়ে মস্ত অপরাধ করেছেন গরু খেয়ে! কে, কী খাবে সেটাও ঠিক করবে সোশ্যাল দুনিয়া?

এখানেই শেষ নয়। এক সৃজিত অনুরাগী দেখিয়েছেন কীভাবে টুইটে একের পর এক কটূক্তি ধেয়ে এসেছে পরিচালকের বিরুদ্ধে। আরো একজন টুইট করে বলেছে, 'আপনার শ্বশুরবাড়ি কবে শুয়োরের মাংসের স্বাদু পদ রান্না করবেন? আর আপনিও সেটা এভাবেই দেখাবেন।'

এবারেও নিজস্ব ভঙ্গিতে উত্তর দেন পরিচালক, 'আমার মা যেমন গরু রান্না করেন না তেমনি শাশুড়ি মাও শুয়োর রান্না করেন না। তবে আমি সব খাই। এমনকি আপনার মতো কেঁচোকেও। টোব্যাস্কো সস মিশিয়ে আপনাকে খেতে দারুণ লাগবে।'

প্রসঙ্গত, দেশ যখন গো-রক্ষক, নাগরিকত্ব আইন ক্ষোভে ফুটছে তখন সৃজিত একটুও না দমে বরং খোলাখুলি আহ্বান জানিয়েছেন সোশ্যাল যুদ্ধের। জানিয়েছেন, ফেসবুকেও যদি কেউ তার খাওয়াদাওয়া নিয়ে তর্ক করতে চান তো তার কোনও আপত্তি নেই। এনডিটিভি।


আরো সংবাদ



premium cement