২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মিশা-মৌসুমীর ভোটের লড়াই আজ

-

নির্বাচনপ্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত নানান নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল করে নির্বাচন করলেও জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি পদে লড়ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা তার প্রতিদ্বন্দ্বী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে নির্বাচনে মূল লড়াই হবে মিশা-মৌসুমীর মধ্যে। খলনায়ক ও নায়িকার মধ্যে বাস্তবের এ লড়াই অনেক হিসাবনিকাশ পাল্টে দেবে।

এরই মধ্যে যদিও হঠাৎ করে গতকাল নির্বাচন স্থগিতসংক্রান্ত আদালতের একটি নোটিশ নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান অনিশ্চয়তায় পড়ে; কিন্তু নোটিশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ভুল থাকায় নির্বাচন কমিশনের আইনগত কঠোর অবস্থানে সে আশঙ্কা কেটে যায়।

এ ঘটনার সূত্রপাত হয় নতুন ভোটার তালিকা নিয়ে। চলতি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে অভিযোগ ছিল, নিয়মবহির্ভূতভাবে অনেকের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তিনজনের নামে নির্বাচন কেন স্থগিত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল; কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেননি। নোটিশ গ্রহণ না করায় গতকাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিনে বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সমন আসে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের নামে আসা উচ্চ আদালতের এ সমনে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়; কিন্তু তাতে নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ থাকায় ইলিয়াস কাঞ্চন তা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠান। এ সময় সমন নিয়ে আসা উচ্চ আদালতের পেশকার এস এম শফিউর রহমানকে তিনি বলেন, তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন নামেই পরিচিত এবং এ নামেই তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তাই যেহেতু তিনি ‘মোহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন’ নন তাই এ নোটিশ গ্রহণে তার কোনো এখতিয়ার নেই। নাম ঠিক হয়ে এলে তিনি তা অবশ্যই গ্রহণ করবেন।

অভিনেতা মো: সোহেল খান ও মোহাম্মদ হোসাইন লিটনের পক্ষে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এই নোটিশ পাঠান। একই সাথে এ নোটিশ গ্রহণ করেননি বিবাদি শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এর ফলে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায়।

এ দিকে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী মৌসুমী সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমার প্রতিপক্ষ পরাজিত হবে এই আশঙ্কায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং সাংবাদিকদের অনুরোধ করব এ দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য।’ এ ছাড়া তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। জয়ী হলে শিল্পী সমিতির উন্নয়নের আট প্রতিশ্রুতি দেন মৌসুমী।

নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতির দু’টি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন : অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।


আরো সংবাদ



premium cement