২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নতুন কোন সিনেমা নিয়ে ভাবছেন না আলমগীর 

নতুন কোন সিনেমা নিয়ে ভাবছেন না আলমগীর  - সংগৃহীত

চলতি বছর পহেলা বৈশাখে মুক্তি পেয়েছিলো অভিনেতা, প্রযোজক  আলমগীর পরিচালিত সিনেমা ‘একটি সিনেমার গল্প’। এই সিনেমায় অভিনয়ও করেছিলেন। তিনি ছিলেন, একজন পরিচালকের ভূমিকায় । এছাড়াও ছিলেন, আরিফিন শুভ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সাদেক বাচ্চু, সাবেরী আলম, সৈয়দ হাসান ইমাম, ববি, জ্যাকি আলমগীর প্রমুখ।

এই সিনেমার দিয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় রুনা লায়লার। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় রুনা লায়লার সুর করা গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন আঁখি আলমগীর।

রুনার ভাষ্যমতে আঁখি আলমগীর অসাধারণ গেয়েছিলেন।

বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে আলমগীর বলেন,‘ আপাতত সিনেমা নির্মাণ নিয়ে ভাবছিনা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন দেখা যাবে।’ বাংলাদেশের দর্শকের কাছে নায়ক হিসেবে আলমগীরের রয়েছে এক অন্যরকম জনপ্রিয়তা। পর্দায় তার ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন উপস্থিতি সবসময়ই দর্শককে মুগ্ধ করে আসছে।

আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল। তার পিতা আলহাজ্জ্ব কলিম উদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া) ছিলেন ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির অন্যতম একজন প্রযোজক। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমার জন্মভূমি’। তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল ‘দস্যুরানী’।

এতেই প্রথম তিনি শাবানার সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন। দর্শকের কাছে আলমগীর-শাবানা জুটি’র ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছিলো এবং এখনো আছে। এই জুটিই এদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক একশো’র অধিক চলচ্চিত্রে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন। আলমগীর অভিনীত উলেল্লখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘চাষীর মেয়ে’, ‘জয় পরাজয়’, ‘হাসি কান্না’, ‘লাভইন সিমলা’, ‘জাল থেকে জ্বালা’, ‘শাপমুক্তি’, ‘গুন্ডা’, ‘মাটির মায়া’, ‘মনিহার’, ‘লুকোচুরি’, ‘হীরা’, ‘মমতা’, ‘মনের মানুষ’, ‘রাতের কলি’, ‘মধুমিতা’, ‘হারানো মানিক’, ‘মেহেরবানু’, ‘কন্যাবদল’, ‘কাপুরুষ’, ‘শ্রীমতি ৪২০’, ‘জিঞ্জির’, ‘বদলা’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘কসাই’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লুটেরা’, ‘চম্পাচামেলী’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘ওস্তাদ সাগরেদ’, ‘দেনা পাওনা’, ‘মধুমালতী’, ‘আশার আলো’, ‘বড় বাড়ীর মেয়ে’, ‘আল হেলাল’, ‘সবুজ সাথী’, ‘রজনীগন্ধ্যা’, ‘ভালবাসা’, ‘লাইলী মজনু’, ‘বাসরঘর’, ‘মান সম্মান’, ‘ধনদৌলত’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘হাসান তারেক’, ‘সালতানাৎ’, ‘দ্বীপকন্যা’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘মহল’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ইত্যাদি। ১৯৮৫ সালে তিনি ‘মা ও ছেলে ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

এরপর আরো আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এদেশে নায়কদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিকবার এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৬ সালে আলমগীর প্রথম ‘নিষ্পাপ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে পরিচালক হিসেবে আতœপ্রকাশ করেন। তার নির্দেশনায় নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘নির্মম’।

তার দীর্ঘদিনের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেও তিনি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। সত্য সাহার সুরে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। ‘আগুনের আলো’ , ‘কার পাপে’, ‘ঝুমকা’ ও ‘নির্দোষ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্লে-ব্যাক করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান

সকল