২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বলিউডে ‘ #মি টু’ ঝড় : করণ জোহর চুপ কেন

করণ জোহর চুপ কেন - সংগৃহীত

বলিউড পাড়ায় যৌন হয়রানি নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা। তারকা থেকে প্রযোজক, পরিচালক সবাই এটা নিয়ে সরব। কিন্তু এই জায়গাটায় এখন পর্যন্ত নীরব ‘কুচ কুচ হোতাহে’ছবির পরিচালক কারণ জোহর। এ জন্যই খেপেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।

তিনি বলেন,‘কোথায় গেলেন করণ জোহর বা শাবানা আজমির মতো মানুষেরা? তাদেরও তো এগিয়ে আসা উচিত ছিল।’ এর আগে শাবানা আজমি আর করণ জোহরের বিভিন্ন কাজ নিয়ে সমালোচনা করেছেন কঙ্গনা রনৌত। এর ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

করণ জোহর ইনস্টাগ্রাম আর টুইটারে খুবই সক্রিয়। প্রতিদিন নানা কিছু নিয়ে পোস্ট দেন। এবার কঙ্গনা তাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘জিম লুক থেকে এয়ারপোর্ট লুক—সবকিছু নিয়ে করণ জোহর মন্তব্য করেন। তিনি দশবার এসব নিয়ে টুইট করেন।’

কিন্তু ‘#মি টু’ আন্দোলন নিয়ে যেখানে সারা বলিউড সরগরম, একের পর এক মানুষের আসল চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে, সেই সময় করণ জোহরের নীরব থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘এটাই তাদের পরিচয়।’

যৌন হেনস্তার ঘটনা নিয়ে একেবারই নিশ্চুপ শাবান আজমি। তার নীরবতা নিয়ে কঙ্গনা রনৌত প্রশ্ন করেছেন, ‘শাবানা আজমি, আপনি এই গোটা ইস্যুতে কেন চুপ করে আছেন?’

এদিকে বলিউডের ১১ নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ভারতের চলমান ‘#মি টু’ আন্দোলন নিয়ে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবেন না ১১ নির্মাতার কেউই। এ তালিকায় আছেন অলংকৃতা শ্রীবাস্তব, গৌরী শিন্ডে, কিরণ রাও, কঙ্কণা সেন শর্মা, মেঘনা গুলজার, নন্দিতা দাস, নিত্য মেহরা, রীমা কাগতি, রুচি নারায়ণ, সোনালী বোস ও জোয়া আখতার।

গত রোববার মেঘনা গুলজার একটি লিখিত বিবৃতি টুইটারে পোস্ট করেন। তাতে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের সমর্থন জানান তিনি। ১১ নারী চলচ্চিত্র নির্মাতার পক্ষ হয়ে ওই বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নারী হিসেবে এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমরা হ্যাশট্যাগ মি টু ইন্ডিয়া আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে একজোট হয়েছি। যে নারীরা সৎসাহস নিয়ে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া হয়রানি ও নির্যাতনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই।’

মেঘনা গুলজারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা নারীর জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের দাবি জানাচ্ছি। নিজেদের একটি নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চাই আজ। প্রমাণিত যৌন হেনস্তাকারীদের সঙ্গে আমরা কেউ কাজ করব না। আমরা ইন্ডাস্ট্রির অন্যদেরও অনুরোধ করব, তারাও যেন এমনটা করেন।

আরো পড়ুন : মিটু-এবার শুটিং স্পটে, তনুশ্রীর পাশে অক্ষয় 
নয়া দিগন্ত অনলাইন  ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৩

সাজিদ খান পরিচালনায় তৈরি হচ্ছিল ‘হাউজফুল ৪’। ছবির টিম নিয়ে সাজিদ শ্যুটিংয়ের আস্তানা গেড়েছিলেন ইতালিতে। অক্ষয় সহ সেইখানে ছিলেন অক্ষয় কুমার, কৃতী স্যানন, কৃতী খারবান্দা, নানা পাটেকার, ববি দেওল সহ অন্যান্য অভিনেতা, অভিনেত্রী। ইতালির শ্যুটিং স্কেডিউল শেষ করেই ফিরতেই অক্ষয় সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি ‘হাউজফুল ৪’এর শ্যুট বন্ধ করে দিয়েছেন। ২৮ বছরের কেরিয়ারে এই প্রথম শ্যুট ক্যানসেল করলেন খিলাড়ি কুমার। তার কথায়, তিনি এমন কোনও মানুষের সাথে কাজ করত উৎসাহি নন যারা মহিলাদের হেনস্থা করেছেন।

টুইটারে একটি পোস্টে অক্ষয় লিখেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে আমি দেশে ফিরেছি। প্রত্যেকটা খবরই আমার চোখে পড়েছে। সবকটাই একই রকমভাবে ভীষণই বিরক্তিকর। আমি ‘হাউজফুল ৪’র প্রযোজকদের অনুরোধ করে শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছি। যতক্ষণ না তদন্ত হচ্ছে আমি শ্যুটিং করব না। আমি কোনও মানুষের সাথে কাজ করতে চাই না যাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এসেছে, এবং যারা সত্যিই এই ঘটনায় দোষী।’ অক্ষয়ের এই পোস্টের পর তার প্রশংসায় ভরছে টুইটার ফিড।

অন্তত তিনজন নারী অভিযোগ তুলেছেন সাজিদ খানের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী সালুনি চোপড়া, র‍্যাচেল হোয়াইট ও সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছেন তাদের সাথে সাজিদ খানের উৎপীড়নমূলক অন্যায় আচরণের ঘটনা। তাদের দাবি, প্রত্যেকের কাছেই নোংরা আবদার করেছেন সাজিদ খান, দিয়েছেন কুপ্রস্তাব। এদের মধ্যে সাংবাদিক কারিশমার করা অভিযোগটি ভয়াবহ। আর সালুনিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা বলবে তা না করলে ছবিতেই নেবেন না সাজিদ।

এসব অভিযোগের কথা জানার পর ‘হাউসফুল-৪’-এর শুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন ছবির নায়ক অক্ষয় কুমার। ওই ছবির প্রযোজককে বলেছেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছবির শুটিং বন্ধ রাখতে হবে। ছবির পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করতে হবে আগে। ঘটনা সত্য হলে তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন না অক্ষয়।

সাজিদ খানএদিকে অভিযুক্ত পরিচালক সাজিদ খান জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ছবির কাজ করবেন না তিনি নিজেও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা নিয়ে আমি, আমার পরিবার, আমার প্রযোজক ও আমার ছবি ‘হাউসফুল’-এর তারকারা সবাই চাপের মধ্যে আছি। ঘটনার নৈতিক দায় আমাকেই নিতে হবে। সে জন্য পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি আমি। যতক্ষণ না আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারি, ততক্ষণ ছবির কাজ করছি না। সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সত্য প্রকাশের আগে তারা যেন কিছু না লেখেন।’ সাজিদ খান পরিচালনা করেছেন ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘হে বেবি’, ‘হাউসফুল’, ‘হাউসফুল-২’ ছবিগুলো।

‘হাউসফুল-৪’ ছবিতে কাজ করার কথা ছিল অভিনেতা নানা পাটেকারের। তার বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্ত যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছেন। 


আরো সংবাদ



premium cement