২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাবালক ধর্ষণের অভিযোগে কঙ্গনার হেয়ারস্টাইলিস্ট আটক

কঙ্গণার সাথে হেয়ারস্টাইলিস্ট বেন্ডন অ্যালিস্টার ডি জি - সংগৃহীত

১৬ বছরের এক বালককে ধর্ষণের অভিযোগে বলিউডের তারকা হেয়ারস্টাইলিস্ট বেন্ডন অ্যালিস্টার ডি জি (৪২)কে আটক করেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের পুলিশ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। বলিউডে তার খ্যাতি ছড়িয়েছে মূলত অভিনেত্রী কঙ্গনার হেয়ারস্টাইলিস্ট হিসাবে।

যে নাবালক ছেলেকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বেন্ডন তার সাথে পরিচয় হয়েছিল একটি অ্যাপের মাধ্যমে।

বেন্ডনকে আটক করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের রায়গঞ্জ জেলার একটি শুটিং সেট থেকে। ওখানে কঙ্গনা তার নতুন ছবির শুটিং করছিলেন।

যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনে বেন্ডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে।

যে ছেলেটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সে বয়স গোপন রেখে ‘ডেটিং অ্যাপ’ এর সদস্য হয়েছিল। পুলিশ বলেছে, ওই ছেলেটি ওই অ্যাপের মাধ্যমে আরো একাধিক ব্যাক্তির সাথে ডেটিংয়ে জাড়িত হয়েছিল। ওই ছেলের মা বাদীয় হয়ে ধর্ষণকারীদের বিরোদ্ধে মামলা করেছে।

এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক, ব্যাবসায়ী সহ অন্য পেশার লোকজন রয়েছে। ধর্ষণকারীর মার দাবি গত জুলাই মাস থেকে তার ছেলের সাথে এই ধরণের ঘটনার সূত্রপাত হয়।

আরো পড়ুন : যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিপাকে অনুপ জলোটা
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২৯

ভারতের আলোচিত রিয়্যালিটি অনুষ্ঠান ‘বিগ বস’-এর দ্বাদশ মরসুমে এই মুহূর্তে অন্যতম আলোচিত বিখ্যাত ভজন গায়ক অনুপ জলোটা ও তার থেকে ৩৭ বছরের ছোট প্রেমিকা জসলিন মাথারু। তাদের সম্পর্ক ঘিরে গুঞ্জন বিগ বসের ঘরে। এরই মধ্যে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন জনপ্রিয় গায়ক। এক টিভি অভিনেত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন যৌন হেনস্থার।

এক সর্বভারতীয় স‌ংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অনীশা সিংহ শর্মা নামের এক মডেল অনুপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান গায়ক তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘বিগ বস’-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছেন। গত ছ’মাসে তার সঙ্গে অনুপ দু’বার মিলিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনীশা।


অনীশার অভিযোগ, এর পর থেকেই তাকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন অনুপ। গত মাস থেকেই তার ফোন ধরছিলেন না। এর পরই তিনি চমকে ওঠেন জসলিন মাথারুর সঙ্গে অনুপের জুটি বাঁধার খবরে।

ওই প্রতিবেদনের দাবি, অনীশা এরই মধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই প্রতিবেদনের আরো দাবি, আর এক জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রীও অভিযোগ এনেছেন, অনুপ জলোটা নাকি তাকে যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অনুপকে পুলিশ নাকি সমন পাঠিয়েছে।

আরো পড়ুন :

`হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ন্যান্সি !'
 ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৩

কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও তার স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে শনিবার জিডিটি করেন ন্যান্সির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সামিউন্নাহার শানুর ভাই সোহাগ আহমেদ। সোহাগ শহরের সাতপাই চক্ষু হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা।

জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সোহাগের বোন সামিউন্নাহার শানু তার স্বামী শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় সানির বড় বোন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও তার স্বামী জায়েদকেও নির্যাতনে উসকানিদাতা বলে আসামি করা হয়।

মামলার পর ওই রাতেই সানিকে শহরের সাতপাই এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ন্যান্সি ও জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এরপর থেকেই শানুর পরিবারকে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ন্যান্সি ও তার স্বামী।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিন খান জানান, ন্যান্সি ও জায়েদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জিডি, উভয় অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

এর আগে মামলার বাদী চার মাসের কন্যাশিশুর মা ও ন্যান্সির ভাই সানির স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু বলেন, ‘২০১৫ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজে লেখাপড়া করার সময়ে সানির সাথে আমার হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় পারিবারিকভাবেই সানির সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সানি বেকারত্ব দেখিয়ে বোন ন্যান্সি ও বোন জামাই জায়েদের সহায়তায় ও উসকানিতে বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে দাবি করে এনে দিতে বাধ্য করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট রাতে আমার পরিবারের কাছ থেকে নতুন করে আরো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার কথা বলেন। আমি বাবার বাড়ি থেকে টাকাপয়সা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, সানি ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে দুধ পান করানো অবস্থায় লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। আমাকে অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন ও মারধর করে একপর্যায়ে শ্বাসরোধ হরে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার আর্ত-চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা সানির বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পুলিশের সহায়তায় পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় সানি আমাকে তালাক দেওয়ারও হুমকি দেয়। আমি পাষণ্ড স্বামী সানির যৌতুকের দাবি ও অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে নিরুপায় হয়ে মামলাটি দায়ের করেছি।’

ভাইকে স্ত্রী নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ন্যান্সি বলেছেন, ‘এই মামলা বানোয়াট। আমার ছোট ভাই সানি গত ২৭ আগস্ট শানুকে ডিভোর্স দিয়েছে। শুনেছি তাদের এক বছরের মতো দূরত্ব ছিল। এই দূরত্ব কাটিয়ে ওঠার দায়িত্ব তাদের ছিল। আমি তো নেত্রকোনায় থাকি না। আমি ওই মেয়ের (শানুর) শাশুড়িও না। আমার সংসার আলাদা। এ ছাড়া আমার বড় ভাই ও বাবা দুজনই আলাদা আলাদা জায়গায় থাকেন। নেত্রকোনায় আমাদের বাড়িতে সানিই থাকত। ওর সংসার ছিল ওখানে।’

ন্যান্সি বলেন, ‘মামলায় উল্লেখ আছে, আমি নাকি সানিকে তার স্ত্রীকে নির্যাতনের জন্য উসকানি দিয়েছি? এটা কী করে সম্ভব! আমি ঢাকা ও ময়মনসিংহে থাকি। গত মে মাসে আমার ওই মেয়ের (শানু) সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি তাদের সংসারে কেন উসকানি দেব? এখানে আমি একদম জড়িত নই। আমাকে ও আমার ভাইকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।’

ন্যান্সি আরো বলেন, ‘আমার ভাই কিংবা আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। সানির অনার্স পরীক্ষা ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষার আগে আমার সাথে দেখা করতে সে ৭ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে এসেছিল। আমার সাথে দেখা করে নেত্রকোনায় বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ সানিকে গ্রেপ্তার করে।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিল্পী ন্যান্সি বলেন, ‘ওই মেয়ে (শানু) যে অভিযোগগুলো করেছে সেগুলো সিনেমার গল্পের মতো। আমার ভাই যদি তাকে নির্যাতন করত তাহলে তখনই সে পদক্ষেপ নিত? এত দেরী করল কেন? আর বিচ্ছেদের পর এটা কেন করতে হলো? এর মানে বিচ্ছেদের পর এসব পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য আমাদের হয়রানি করা। আমি তো এখানে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার নামটা দিয়েছে যাতে মামলার বিষয়টা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কারণ আমাকে তো সবাই চিনে।’

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ২০০৬ সালে ‘হৃদয়ের কথা’ ছবিতে গান গেয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়ে জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি পান তিনি।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘পাগল তোর জন্য রে’, ‘ভালোবাসি তোমায়’, ‘দ্বিধা’, ‘আকাশ হতে আমি চাই’, ‘শিশির ভেজা’ ইত্যাদি। ২০১১ সালে ‘প্রজাপতি’ ছবিতে গান গেয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

 




আরো সংবাদ



premium cement