উপার্জন ভালো না হলে মেগ কার্পেটের তলায় চলে যাবে : স্টাটহ্যাম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩০
১০ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার পরই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে সায়েন্স ফিকশন হরর ছবি ‘দ্য মেগ’। পরিচালনা করেছেন জোন টার্টেলটব। চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত স্টিভ অলটার্নের বই মেগ: আ নভেল অব ডিপ টেরর অবলম্বনে। অভিনয় করেছেন জ্যাসন স্টাটহ্যাম, লি বিংবিং, রেইন উইলসন, রুবি রোজ, উইনস্টন চাও এবং ক্লিফ কার্টিস। মেগালোডোন প্রজাতির ৭৫ ফুট লম্বা একটি দানবীয় হাঙরের আক্রমণ থেকে সমুদ্রসৈকতে আসা লোকজনকে বাঁচাতে কাজ করছেন একদল বিজ্ঞানী। এ নিয়েই ছবির গল্প। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে মেগালোডোন প্রজাতির হাঙর সত্যিই একদিন দুনিয়াতে ছিল, তবে সেটা আজ থেকে ২৬ লাখ বছর আগে।
তবে দ্য মেগ সিনেমায় ১২ই আগষ্টই সেই দানবীয় হাঙরের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাসন স্টাটহ্যাম। প্রশান্ত মহাসাগরে হাঙরের আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস খ্যাত এই অভিনেতাকে। স্টাটহ্যাম দ্য মেগ-এ জোনাস টেলরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি সাগরে কোনো উদ্ধার অভিযানে বিশেষজ্ঞ। সাগরতলে একটি গবেষণাগারে দানবীয় হাঙরের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার বিজ্ঞানীদের বাঁচাতে ডাকা হয় জোনাসকে। এই হাঙরটিকে জোনাস কয়েক বছর আগেই একবার দেখেছিলেন, তখন সবাই তাকে পাগল বলে সে কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি সাক্ষাত্কার নিয়েছে জ্যাসন স্টাটহ্যামের—
দ্য মেগের শুটিং কেমন ছিল?
দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলাম ১৯৯০-এ। সেখানকার মানুষজন চমত্কার। শুটিং মূলত হয়েছিল অকল্যান্ডে। সেখানে দেখার মতো দুর্দান্ত সব জায়গা রয়েছে। এখানকার প্রকৃতি দেখলে মনে হয় সময় যেন আটকে আছে। সাউথ আইল্যান্ড আপনার মাথা খারাপ করে দেবে। এরকম সুন্দর একটা দেশে কাজ করা একটা বাড়াতি পাওনা।
হাঙরটা কি পুরোপুরি কম্পিউটার থেকে তৈরি ইমেজ ছিল? এর সঙ্গে অভিনয় করলেন কীভাবে?
হু, সত্যি সত্যিই এমন কোনো প্রাণী আজ নেই। তাই আমাদের খুব সৃষ্টিশীল পদ্ধতি বাছতে হয়েছে। কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজের সঙ্গে মডেল যুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যবহার করেই আমাদের পানির মধ্যে নড়াচড়া করতে হয়েছে। এসব জিনিস এক করতে সত্যিই চাতুরীর আশ্রয় নিতে হয়েছে।
লি বিংবিং প্রধান নারী চরিত্রে কাজ করেছেন। তার চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলবেন?
লি অসাধারণ অভিনেত্রী। আমাদের রসায়ন ছিল চমত্কার। একসঙ্গে আমাদের কিছু দুর্দান্ত দৃশ্য আছে। অনেকটা সময় আমাদের পানিতেও থাকতে হয়েছে। শুটিংটা কঠিন ছিল। সিনেমার সেটে কাজ করার চেয়ে এ অভিজ্ঞতা একেবারে ভিন্ন। আপনাকে বারবার পানিতে নামতে হচ্ছে, আবার উঠতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে আপনি ধৈর্য হারাবেন। পানিও অনেক সময় বেশ ঠান্ডা ছিল। তবে লির সঙ্গে কাজ করাটা সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা।
আপনারা কি সমুদ্রেই সিনেমার পুরোটা শুট করেছেন?
আমরা যেমন সাগরে নেমেছি, তেমনি পানির ট্যাংকও ছিল। সব মিলিয়ে অনেক কিছুর সমন্বয়। সাগরের মাঝখানে গিয়ে খাঁচা এবং শিল্পীদের নামিয়ে দেয়াটা খুব কঠিন কাজ। তাই অনেক কৌশল নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। কখনো আমরা সত্যিই সাগরে, আবার কখনো পানির ট্যাংকে ছিলাম। আমি স্কুবা ডাইভের খুব ভক্ত। এটা আমি দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তেই করতে চাই। তাই সমুদ্রে নামার সুযোগ হলে আমি আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করি।
কখনো কি সত্যিকার হাঙরকে কাছ থেকে দেখেছেন?
হ্যাঁ দেখেছি। ফিজিতে। ওখানে অনেককে নিজ হাতে হাঙরকে খাওয়াতে দেখেছি। আমি খুব কাছ থেকে দৃশ্য দেখেছি। বেশ শিহরণ জাগানো পরিস্থিতি।
মেগ ছবি কি আরো হবে?
আমার মনে হয় যদি ছবিটা আর্থিকভাবে সফল হয় তাহলে আরো অর্থ কামানোর ক্ষুধা তৈরি হবে। অর্থাৎ আরো মেগ তৈরি হতে পারে। এটাই এখনকার নিয়ম। আর উপার্জন ভালো না হলে মেগ কার্পেটের তলায় চলে যাবে। হলিউডে এভাবেই কাজ হয়। সবাই ভালো ছবি তৈরি করতে চান এবং শেষমেশ এটা দর্শকদের হাতে চলে যায়। দর্শকরাই চূড়ান্ত নিয়ামক। তারা চাইলে কোনো সিনেমার সিক্যুয়াল তৈরি হয় কিংবা হয় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা