২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পুলিশী হানায় ভাঙলো মিঠুনের ছেলের বিয়ে

সিনেমা
বাবা-মায়ের সাথে মিমো - ছবি: সংগৃহীত

এক মহিলাকে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জামিন পেলেও, মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিয়ে বাতিল হয়ে গেল। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার উধগমন্ডলমে (উটি) মিঠুনের হোটেলেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেই চলে আসে পুলিশ।

এদিনই ওই ধর্ষণ ও জালিয়াতির মামলায় মিঠুনের স্ত্রী ‌যোগিতা বালি ও ছেলে মিমোর আগাম জামিন মঞ্জুর করে দিল্লির একটি আদালত। পুলিশ সূত্রে সংবাদ মাধ্যমের খবর, পুলিশ উটির হোটেলে হানা দেয়ার পরই কনেপক্ষ হোটেল ছেড়ে চলে ‌যায়।

গত বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট মিমো ও যোগিতা বালিকে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করে। ফলে ওই দুজনের গ্রেফতার একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী ছিল।

এদিকে, জামিন অগ্রাহ্য হওয়ার পরই তারা দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। তার পরেই শনিবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি আশুতোষ কুমার।

উল্লেখ, সম্প্রতি একটি মহিলা অভি‌যোগ করেন, তার সাথে প্রায় চার বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক ছিল এই মিমোর। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলা যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তখন তাকে কয়েকটি ওষুধ দেন মিমো। সেই ওষুধ খাওয়ার পর তার গর্ভপাত হয়ে যায়। মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ওই মহিলার অভিযোগ, ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এই হুমকির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে আসেন ওই মহিলা। ওই অভি‌যোগের পরই প্রবল বিপাকে পড়ে ‌যান যোগিতা বালি ও মিমো। মামলা গড়ায় আদালতে।

আরো পড়ুন :

এমপি পদ ছাড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
ভারতীয় রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল এমপি মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন। পদত্যাগের জন্য অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকদিন রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরে অর্থলগ্নি সংস্থার অনিয়ম নিয়ে তদন্তের সূত্রে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কার্যত আর যাননি তিনি। দফায় দফায় আবেদন পাঠিয়ে ছুটি নিয়েছেন। তা ছাড়া অসুস্থও হয়ে পড়েন। এবার পাকাপাকি ভাবে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন ‘ফাটাকেষ্ট’।

জল্পনা ছিল এই সপ্তাহের শেষ দিকে পার্লামেন্টে গিয়ে পদত্যাগ পত্র দিতে পারেন তিনি। কিন্তু একেবারে সপ্তাহের শুরুতেই তিনি পদত্যাগ পত্র দিয়ে দিলেন। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিঠুন। রাজ্যসভায় তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের এপ্রিলে।

দলের সঙ্গে বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার নাম জড়ানোর পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তী। তাতে তার নামও জড়িয়ে যায়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement