কুকীর্তি ফাঁস : আত্মসমর্পণ হলিউড সম্রাট উইনস্টাইনের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ মে ২০১৮, ০৮:২৪
ধর্ষণের অভিযোগে আত্মসমর্পণ করলেন একদা প্রবল পরাক্রমশালী ‘সিনেমা সম্রাট’ হার্ভে উইনস্টাইন। মহিলাদের নিয়ে তার কুকীর্তি সামনে আসার পরেই সারা পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালু হয় ‘#মিটু’ (আমাকেও) আন্দোলন। সেই আন্দোলনের চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারলেন না উইনস্টাইন। শুক্রবার নিউ ইয়র্ক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। কয়েক দশক ধরে প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক মহিলার উপর লালসা চরিতার্থ করেছেন উইস্টাইন। অবশেষে লুসিয়া ইভান্স নামে এক অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকারের পরেই উইস্টাইনের কুকীর্তি সামনে আসে। এরপরেই ৭০ জনের বেশি মহিলা উইস্টাইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।
তবে যে দুই অভিযোগের ভিত্তিতে উইনস্টাইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল তার একটি করেছিলেন লুসিয়াই। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নিকে তিনি জানিয়েছিলেন, হলিউড প্রডিউসার উইনস্টাইন তার সঙ্গে কাজ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ডেকে তাকে ওরাল সেক্স-এ বাধ্য করেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগটি কে আনেন তা এখনও জানা যায়নি।
ম্যানহাটনের জেলা আদালত এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬৬ বছরের উইনস্টাইনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে। তবে আত্মসমর্পণের আগেই জামিন নিয়ে আলোচনা সেরেছিলেন তিনি। জামিন পেতে গেলে, তাকে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার দিতে হবে এবং তাকে নজরদারি যন্ত্র পরে থাকতে হবে। তার ভ্রমণের উপরও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে। তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। উইনস্টাইনের আইনজীবী বেঞ্জামিন ব্রাফম্যান এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আগে অবশ্য ব্রাফম্যান জানিয়েছিলেন, তার মক্কেল উইনস্টাইন কারও সম্মতি ছাড়া সহবাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত, ক্ষমা চাইলেন হলিউড অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান
হলিউডে প্রায় পাঁচ দশকের কেরিয়ার তার। ঝুলিতে রয়েছে ‘দ্য শ্যশাঙ্ক রিডেম্পশন’, ‘মিলিয়ন ডলার বেবি’র মতো সিনেমা। পেয়েছেন অস্কার, গোল্ডেন গ্লোবের মতো সম্মান। আশি বছর বয়সেও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই বয়সে এসে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল কিংবদন্তি হলিউড অভিনেতা মরগ্যান ফ্রিম্যানের বিরুদ্ধে। আট জন মহিলা এই অভিযোগ এনেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতার বিরুদ্ধে। চাপের মুখে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন প্রখ্যাত অভিনেতা।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। হলিউডের এক প্রোডাকশন কর্মী অভিযোগ জানান, ২০১৫ সালে ‘গোয়িং ইন স্টাইল’ ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেটাই ছিল হলিউডে তার প্রথম কাজ। সেটে নানা অজুহাতে ফ্রিম্যান তাকে ডাকতেন। স্কার্টের নিচে তিনি অন্তর্বাস পরেছেন কি না, তা জানতে চাইতেন। নিতম্বে হাত দেয়ার চেষ্টা করতেন। স্কার্ট তোলারও নাকি চেষ্টা করতেন। পরে আরেক সিনিয়র প্রোডাকশন কর্মী জানান, ২০১২ সালে ‘নাও ইউ সি মি’র সেটে একইভাবে বর্ষীয়ান অভিনেতা তাকে হেনস্তা করেন। এরপর থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে অভিনেতার বিরুদ্ধে।
চাপের মুখে অভিনেতার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে ফ্রিম্যান দাবি করেন, তাকে যারা চেনেন তারা জানেন তিনি কোনো দিন জেনেবুঝে কাউকে অসম্মান করেননি। যদি তার বক্তব্য বা ব্যবহারে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন অথবা অসম্মানিত বোধ করেন তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এমনিতেই হার্ভে ওয়েনস্টাইন কাণ্ডের পর যৌন হেনস্তা নিয়ে বাড়তি সচেতন হলিউড। এর মধ্যে মর্গ্যান ফ্রিম্যানের মতো অভিনেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গেছে মার্কিন মুলুকে। অভিনেতার এই ক্ষমা চাওয়াকে অনেকেই স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা