১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জরাজীর্ণ ভবনে চলে শিশুদের পাঠদান

জরাজীর্ণ ভবনে চলে শিশুদের পাঠদান - ছবি: নয়া দিগন্ত

জরাজীর্ণ আধা পাকা টিনশেডের পাঁচটি কক্ষ। একটিতে শিক্ষকদের অফিস, একটি প্রাক-প্রথমিক ও বাকী তিনটি কক্ষে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ফুটো হয়ে জালে মতো হয়ে গেছে টিনের ছাউনি। ফাটল ধরে নষ্ট হয়ে কোন মতে দাঁড়িয়ে আছে পাশের দেয়াল। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দাগনভূঞা উপজেলার দেবরামপুর জাহানারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৪৮ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ১৯৭৭ সালের জুলাইতে সরকারীকরণ করা হয়। ১৯৮৯ সালে একটি আধাপাকা টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। সেটি আর সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। ২০১০ সালে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আরো একটি ভবন নির্মাণ করা হলেও পুরাতন ভবনটির তিনটি কক্ষ পাঠদানে ব্যবহার হয়। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক ও ১৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটা দিয়ে পানি পড়ে। এতে অফিস কক্ষের কাগজপত্র, আসবাবপত্র নষ্ট হয়, শিক্ষার্থীর বই-খাতা জামা-কাপড় ভিজে যায়। পাঠদানের অনুপযোগি হয়ে পড়ে পুরো ভবনটি। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে।

প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনিম ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার জানায়, একটু বৃষ্টির সময় আমাদের বইখাতা, জামা-কাপড় ভিজে যায়। টেবিল ভিজে যাওয়ায় ক্লাস করা যায় না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চামেলী ভৌমিক জানান, বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: হারুনুর রশিদ জরাজীর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বনকে জানিয়েছি।

দাগনভূঞা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম কে ইমাম উদ্দিন জানান, জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনটির কথা কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। ওই পুরাতন ভবনটি মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে বলে প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে। ওই স্কুলে একটি নতুন ভবন বরাদ্ধের জন্যও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement