২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কৃষকরা

-

দক্ষিণ চট্টগ্রামে শঙ্খ নদীর তীরবর্তী চর জুড়ে পেঁয়াজ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা কাজে লাগতে তৎপর হয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই এই অঞ্চলের চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে বর্তমানে দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ২৪ লাখ মেট্রিক টন। আর পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৬ থেকে ১৭ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ঘাটতি মোকাবেলা করা হয় বিদেশ থেকে আমদানি করে। রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জেই দেশের সিংহভাগ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী শঙ্খ নদীর তীরবর্তী চরের সবজি চাষীরা জানান, ১০-১৫ বছর আগে পেঁয়াজ চাষ করলেও বর্তমানে তার কেউ আর পেঁয়াজ চাষ করেন না। চাষী আবদুস সালাম, মজিবুর রহমান, মো, জামাল, এয়াকুব মিয়ারা জানান, এখন পেঁয়াজের দাম বাড়ার সাথে সাথে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কেউ কেউ। এদের মধ্যে কালিয়াইশ মাঈঙ্গাপাড়ার সবজি চাষী আক্তার হোসেন পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন।
বর্তমানে শঙ্খ নদীর চরে নিজের সবজি ক্ষেতের সাথে চার শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বুনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে উন্নত মানের দেশী জাতের পেঁয়াজ বীজ পাওয়া যাচ্ছে, সেখান থেকেই তিনি বীজ সংগ্রহ করে পেঁয়াজের বীজ বপন করছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তার রোপন করা পেঁয়াজ ক্ষেতে পেঁয়াজ পাতা গজাচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, বীজ কেনা সাড়ে ৪০০ টাকা, ১০ কেজি সার ও জমি তৈরিতে মজুরি খরচ হয়েছে ৭০০ টাকা। প্রতি দুই শতাংশ জমিতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন।

বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম খালেকুজ্জামান টেলিফোনে বলেন, বেলে দোআশঁ মাটিতে পেঁয়াজ চাষ ভাল হয়। তাছাড়া সে সব জায়গায় সেচ সুবিধা রয়েছে সেই সব জমিতে ভাল পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব। সেই হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম শঙ্খ নদীর দুই তীরের বিস্তির্ণ চর এবং পাহাড়ের পাদদেশে পেঁয়াজ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সাথি ফসল হিসাবেই পেঁয়াজ চাষ করা যায় বলেও জানিয়েছেন মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকগণ।

বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের পেঁয়াজ গবেষক ড. নুর আলম চৌধুরী টেলিফোনে জানান কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিশন উদ্ভাবিত ‘বারি পেঁয়াজ ৪’ এর গড় উৎপাদন প্রতি হেক্টর জমিতে ২১ থেকে ২২ মেট্রিক টন। আর ‘বারি পেঁয়াজ ১’ উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৪ মেট্রিক টন।


আরো সংবাদ



premium cement