যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় গৃহবধূকে তালাকের হুমকি
- দেবিদ্বার(কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৩
কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক দরিদ্র পিতা ফরিদ মিয়ার মেয়ের যৌতুকের দাবি পরিশোধ করতে পারেনি। তাই তার মেয়ে শাহিনা আক্তারকে (২৭) দুটি শিশু সন্তান নিয়ে স্বামী সংসার ছেড়ে এখন থাকতে হচ্ছে বাবার বাড়িতে। শাহিনা আক্তার অন্যত্র কাজ করে দুই সন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে যানা জায়, দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মশিকাড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে শাহিনা আক্তার এর সাথে একই এলাকার বল্লভপুর গ্রামের মৃত সুবল আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম এর সাথে দুই পরিবারের আলোচনার ভিত্তিতে তাদের বিয়ে হয়।
এরমধ্যে তাদের সংসারে দু’ সন্তান আসে। এক পর্যায়ে সাইফুল মাদকাসক্ত হয়ে পরে এবং একাধিক বিয়ে করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্যরা বেশ কয়েকবার বিচার-সালিশ করেন। সালিশে ঘর সংসার করার কথা বলে গেলেও পরে বাড়ি গিয়ে শাহিনা আক্তারকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
শাহিনার কাছে ব্যবসা করার জন্য ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। ওই যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় তার উপর শুরু হয় নির্যাতন। সাইফুল অন্য নাম ব্যবহার করে মুরাদনগরের কাশিমপুরে বিয়ে করে ওখানেই বেশী সময় কাটান। বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে কাশিমপুরে জমি ক্রয় করেছেন। এখন শাহিনার কাছে আসে না এমনকি তার সন্তানদের খোঁজ-খবর ও লালন-পালনের জন্য টাকা পয়সা দেয় না।
গৃহবধূ শাহিনা আক্তার জানান, যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করলে শাহিনা আক্তারকে তালাক প্রদান করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসছে সাইফুল। স্বামীর আশ্রয় পেতে গৃহবধূ শাহিনা আক্তার দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। মামলা করার পর থেকে সাইফুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
দুই সন্তান নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান শাহিনা আক্তার। তিনি সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সংসারেই থাকতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।