২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণ

সাতকানিয়া ও উনাইনপুরা গ্রামে শোকের মাতম

লাশ দাফন ও সৎকার সম্পন্ন
বেঁচে থাকা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের কান্না ও (ডানে) নিহত এ্যানি বড়ুয়া - ছবি : নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রাম নগরীর ব্রিকফিল্ড রোড পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত পটিয়ার এ্যানি বড়ুয়া (৩৫) এবং সাতকানিয়া কালিয়াইশ মাস্টারহাটের জুলেখা বেগম ফারজানা (৩০) ও তার বড় ছেলে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আতিকুর রহমান শুভর (৮) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

আজ রোববার সকালে পটিয়া নিজ কর্মস্থল পটিয়া মেহেরআঁটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য রিকশাযোগে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনের দেয়াল পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন পিডিবির প্রকৌশলী ও পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের উনাইনপুরা গ্রামের মাস্টার বাড়ির পলাশ বড়ুয়ার সহধর্মিনী এ্যানি বড়ুয়া। একই সময়ে সাতকানিয়া কালিয়াইশ ইউনিয়নের মাস্টার হাট মো: আলী শিকদার বাড়ির তরুন অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের সহর্ধমিনী জুলেখা বেগম ফারজানা ও তার বড় ছেলে আতিকুর রহমান শুভ নিহত হয়।

এ ঘটনায় পটিয়ার উনাইনপুরা মাস্টার বাড়ি ও মাস্টার হাট মো: আলী শিকদার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নিহত এ্যানি বড়ুয়ার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া অভিষেক বড়ুয়া ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া অভিজিৎ বড়ুয়া নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। অপরদিকে নিহত গৃহবধূ জুলেখার আরিফুর রহমান শুভ (৫) নামে আরেক পুত্র রয়েছে।

ঘটনার পরে রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত এ্যানি বড়ুয়ার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত এ্যানি বড়ুয়ার দেবর সরোজ কান্তি বড়ুয়া টিপু বলেন, বৌদির মৃত্যুর খবরে বড় ভাইয়ের জ্ঞান এখনো পুরোপরি ফিরে আসেনি। মাকে হারিয়ে শিশু ছেলেদের দিকে আর তাকানো যায় না। রাতে তার বউদির সৎকার হয়েছে। তিনি বলেন, পুরো গ্রামের মানুষ কাঁদছে এ ঘটনায়।

অপরদিকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মা ও ছেলের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে কালিয়াইশ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের চাচাতো ভাই সামসুল ইসলাম কামাল উদ্দিন বলেন, সকালে তার ভাই আতাউর রহমান কোর্ট বিল্ডিংয়ে চলে যাওয়া পরে ছোট ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বড় ছেলে শুভকে নিয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে তাদের বহন করা রিকশার উপরে দেয়াল ভেঙ্গে পড়লে মা ও ছেলে এক সাথে মারা যায়। স্ত্রী ও আদরের বড় ছেলে হারিয়ে তার ভাই এখনো সেন্সল্যাস রয়েছে।

এদিকে, রাত সাড়ে ৯টায় মো: আলী সিকদার বাড়িতে একই সাথে মা ও ছেলের জানাজার নামাজ শেষে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়।

আজ সকালে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় সাতজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বদলে যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার নাম সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ

সকল