২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পেঁয়াজের লাগামহীন দামের সাথে সরকার জড়িত : গয়েশ্বর

পেঁয়াজের লাগামহীন দামের সাথে সরকার জড়িত : গয়েশ্বর - ছবি : সংগৃহীত

পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বাড়ার সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এর ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য তার। বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ ইচ্ছে করলে লাগাম টানতে পারেন। পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু,নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ,ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক,তাঁতীদলের যুগ্ম-আহ্বয়ক ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন,সরকার সচেতন থাকলে জনগণের ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী খেলা করার সাহস পেতো না। ব্যবসায়ীরা সবসময় লাভ খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে দাম না বাড়ে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ আমদানি করা যেতো, যেটা সরকার পারেনি। সরকার ব্যবসাযীদের বড়লোক করতেই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জনগণ ইচ্ছে করলে লাগাম টানতে পারেন। তাদের (জনগণ) পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, নেতাকর্মীরা এখন রাজপথ ভুলে গেছে। তারা রাজপথে এলে খালেদা জিয়া এতোদিন জেলে থাকতে পারে না। তবে সরকারের জন্য, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা অনিবার্য ছিল। কেননা তাকে জেলে না রাখলে আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে দেওয়ার সাহস পেতো না। এক্ষেত্রে তারা নানা চক্রান্তের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, কোনো পরিবর্তনই প্রস্তুতি নিয়ে হয় না। মুক্তিযুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে হয় নাই, ৭ নভেম্বর প্রস্তুতি নিয়ে হয় নাই। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে নামতে হবে। এজন্য আগে থেকে কোনো প্রস্তুতির দরকার হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement