গভীর সাগরে ৩ মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতি, ২ জেলে নিখোঁজ
- পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৯
বঙ্গপোসাগরের বাঁশখালী গন্ডামারা চ্যানেলের গভীরে মাছ ধরে আসার পথে তিনটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতি করেছে জলদস্যুরা।
শনিবার সকালে ওই চ্যানেলের জাহাজ খারি নামক এলাকায় জলদস্যুরা মাঝিমাল্লাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় জলদস্যুদের ভয়ে মোহাম্মদ হোছাইন (২৮) ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন(৩২) নামে দুই জেলে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে।
দস্যুদের হামলায় আবুল হোসেন(৩০) ও হাসন (৩০) মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ আমিন(৫০)সহ মাছধরা ট্রলারে থাকা ১০/১২ জেলে আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিন মাঝিমাল্লাকে রাতে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জলদস্যুরা মাছধরার সমগ্র সরঞ্জাম আহরিত মাছসহ প্রায় ১৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় বলে বাঁশখালী চাম্বল মাছধরা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম গতকাল রাত ৮টায় মোবাইল ফোনে জলদস্যু আক্রান্ত জেলেদের মোবাইল ফোনে দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদককে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হেফাজতুল ইসালাম জেলেদেরে বরাত দিয়ে জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার পরে বাঁশখালীর মাছ ধরা ট্রলার গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায় ওই দিন। সকালে বাঁশখালী পশ্চিম চাম্বলের মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মালিকানাধীন এফবি-১ ও এফবি-২সহ তিনটি মাছধরা ট্রলার পাশাপাশি থেকে বাঁশখালীতে আসছিল। এসময় ট্রলার তিনটি গভীর সাগরের বাঁশখালী গন্ডামারা চ্যানেলের জাহাজখারি নামক জায়গায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বলে জানান।
তিনি বলেন, এই ব্যাপারে রাতেই বাঁশখালী থানায় একটি মামলার অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাগরে ঝাঁপদিয়ে নিখোঁজ দুই জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান হেফাজতুল ইসলাম।
আজ রোববার বিকালে যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুফিজুর রহমান, জলদস্যু কর্তৃক তিনটি ট্রলার ডাকাতির অভিযোগে প্রসঙ্গে বলেন, এজহারে যেই স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে স্থানটি কুতুবদিয়া মহেশখালী বা বাঁশখালী এলাকায় হতে পারে। সে কারণে অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা