তলিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মাছ ধরার উৎসব
- এসএম রহমান পটিয়া-চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম)
- ১৩ জুলাই ২০১৯, ২০:১৬, আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৯
টানা ৯ দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে গত দুইদিন ধরে চট্টগ্রাম-মহাসড়কের উপরদিয়ে পাহাড়ী ঢল প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে পড়ছে। কত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত শঙ্খ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও কর্ণফ‚লী উপজেরার সিংহভাগ এলাকার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়া স্থায়ী ভাবে বন্যার আকার ধারণ করছে, এসব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ কার্যত পানি বন্দি হয়ে মহাদুর্ভোগে পড়েছে।
কয়েকদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে গত শুক্রবার বিকাল থেকে গতকাল এই রিপোট লেখা রাত সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর বড়পাড়া ও সোনা মিয়ার বটতলা এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার মহাসড়কের উপর দিয়ে পাহাড়ী ঢল প্রবাহিত হচ্ছিল এই সময়ের মধ্যে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
বেশ কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে প্রবাহিত হলেও গতকাল শনিবার থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বন্যায় রুপ ধারণ করছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের তরফ ধেকে পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চাউল চাল ও খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
চন্দনাইশ উপজেলা নিবার্হি অফিসার আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেন, সমগ্র উপজেলার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়া উপজেলার ৮০ হাজার থেকে একলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পটিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার হাবিবুল বাসার বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে পটিয়া শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ বশত বাড়ি খালে বিলিন হয়েছে তাছাড়া অন্তত সাড়ে ৪০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাশঁখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, উপজেলার তেচ্ছিপাড়া এলাকায নদীর ঢলে ৫ জনের বাশতঘর নদীতে বিলিন হয়েছে। এদিকে উপজেলার অধিকাংশ নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বেশ কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ে।
আনোয়ার উপজেলা নিবার্হী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, উপজেলার রায়পুর , জুঁইদন্ডি, হাইলধর, বারখাইন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
বোয়ালখালী উপজেলা নিবার্হি অফিসার একরামুল ছিদ্দিকী বলেন, উপজেলার অধিকাংশ নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, উপজেলার খালের ভাংঙ্গনে উপজেলার জৈষ্টপুরা এলাকায় ৬ জনের বশতবাড়ি খালে বিলিন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর মাছধরার উৎসব
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর এলাকাবাসী ঝাঁকি জাল নিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠে। শনিবার সকাল থেকে সন্ধা পযন্ত গ্রামবাসী মাছ ধরেন। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে মহাসড়কের দুই পাশের শত শত মাছের প্রজেক্ট ও পুকুর তলিয়ে যায় এছাড়া ঢলের পানিতেও প্রচুর পরিমাণ মাছ ভেসে আসার সাথে সাথে এলাকাবাসীর মধ্যে মাছ ধরার প্রতিযোগীতা লেগে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা