স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ধর্ষকের নাম শোহরাব হোসেন (১৯)। সে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের পুরানবাড়ীর ইমাম হোসেনের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের একটি দোকান থেকে অভিযুক্ত শোহরাব হোসেনকে আটক করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পুরানবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে শোহরাব। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা শুক্রবার রাত ১০টায় রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে ও ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর মা জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় বৃষ্টির সময় নোয়াপাড়া পুরানবাড়ীর লোকজন বাড়ীর পার্শ্ববর্তী নালায় মাছ ধরতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর নোয়াপাড়া পুরানবাড়ীর ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও স্থানীয় নোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১২) মাছ ধরা দেখতে যাওয়ার সময় বাড়ীর পূর্ব পাশের ঘাটলায় পথরোধ করে একই বাড়ীর সম্পর্কে চাচাতো ভাই ধর্ষক শোহরাব হোসেন।

পরে ঘাটলার ফ্লোরে স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে শোহরাব হোসেন তার হাতের মুঠোয় ৫০টাকা দিয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে।

পরে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে স্কুলছাত্রীর মা ঘরে ফিরে আসলে ধর্ষিত স্কুলছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনাটি এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য লোককে জানালে তারা ঘটনাটি প্রকাশ না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে চাপ প্রয়োগ করে।

শুক্রবার বিকেলে মেয়ের পিতা রামগঞ্জ থানা পুলিশে ঘটনাটি জানালে থানা পুলিশের এসআই কাউসারুজ্জামান সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ধর্ষক শোহরাব হোসেনকে নোয়াপাড়া বাজারের একটি দোকান থেকে আটক করে।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শোহরাব হোসেন পুলিশ আটক করেছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপতালে পাঠানো হয়েছে।