২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টিতে জনজীবন ব্যাহত, লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

-

গত তিন দিনের একটানা মাঝারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আতংক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলো হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও বৃষ্টির পানির তোড়ে লংগদু-দীঘিনালা যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে আর পাহাড়ী ঢল নামতে শুরু করায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারেনি। রাস্তায় যানবাহন সংখ্যা কম। রাঙ্গামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় সমাজ উন্নয়ন কমিটি পৌর কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের দূর্যোগের কথা মাথায় রেখে রাঙ্গামাটি শহরের ৬ নং ওয়ার্ডকে বেশি দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোন আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসেনি ।

রাঙ্গামাটির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মনোঘর, যুব উন্নয়ন এলাকা, শিমুলতলী, ভেদেভেদী, সনাতন পাড়া, লোকনাথ মন্দিরের পেছন সাইড, রূপনগর, আরশি নগর, টিভি সেন্টার এলাকা, আউলিয়া নগরসহ বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম।

রাঙ্গামাটি পৌসভারসহ ১০ উপজেলায় মোট তিন হাজার ৩৭৮টি পরিবারের প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ঝুঁকিতে আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুন থেকে টানা বর্ষণের ফলে ১৩ জুন রাঙ্গামাটি জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ জন সেনা সদস্যসহ ১২০ জন নিহত হয়। পরের বছর ২০১৮ সালের ১১ জুন নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে মুত্যু হয় ১১ জনের।


আরো সংবাদ



premium cement