২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিনের বাদশা হাতিয়ে নিল ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা!

- নয়া দিগন্ত

‘আমি সোলেমান বাদশা বলছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বি। ছেলে মেয়েদের নামাজ পড়তে বলবি। সকালে কাউকে না জানিয়ে এতিমদের জন্য আমার বিকাশ নম্বরে (০১৭১৯৭২২৬৯৬) ১১শ টাকা পাঠাবি। এখন ১১শ টাকা পাঠাও কোরআন শরীফ ও জায়নামাজ কেনার জন্য...’,। বুধবার ভোরে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মিস্ত্রি বাড়ির কুলসুম আরা বেগমকে ফোন করে জিনের বাদশা এভাবে টাকা চায়।

প্রথমে ১১শ টাকা পাঠানোর পর কয়েক দফায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায় কুলসুমার কাছ থেকে। এখন সব হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে কুলসুমের পরিবার।

জানা গেছে, বুধবার ভোরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে ভূক্তভোগী কুলসুমা আরা বেগমকে এক ব্যক্তি ফোন দেন। এসময় ছেলে-মেয়েদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও এতিমদের খাওয়ার জন্য ১১শ টাকা পাঠাতে বলে সে। তিনি কিছু না বুঝে ১১শ টাকা পাঠান। এসময় তাকে একটি স্বর্ণের মূর্তি (আসলে পিতলের) দেয়া হয়। মূর্তি’র ভেতরে একটি কাগজ ছিল। মূর্তিটি বাড়িতে আনার পর ওই জিনের বাদশা আবার অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করে।

ফোনে তিনি জানান, মূর্তিটির ভেতরে একটি কাগজ আছে। কাগজটি ছেলে মেয়ের নাকে নিয়ে ঘ্রাণ নিতে বলেন। কাগজটি ছেলে-মেয়েরা ঘ্রান নেওয়ার পর তারা অন্য রকম আচরণ করতে থাকে। এসময় ওই জিনের বাদশা অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলে মেয়েদের বাঁচাতে অনেক টাকা দিতে হবে বলে জানান। পরে কুলসুম বারইয়ারহাট শেফা হাসপাতালের সামনে গিয়ে ১০ ভরি স্বর্ণ এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। পরে কয়েক দফায় বিকাশের মাধ্যমে তাকে (জিনের বাদশা) সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। এখন তিনি সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

কুলসুম আরা বেগমের ছেলে আবদুল লতিফ জানান, তিনি প্রথমে মাকে টাকা পাঠাতে বারণ করেছেন। কিন্তু ওই পিতলের মূর্তিটি ঘরে আনার পর তিনি নিজে বিকাশে টাকা পাঠাতে থাকেন। তার মনে এক ধরণের পরিবর্তন দেখা দেয়।

কুলসুমের বোনের ছেলে ইকবাল হোসেন বলেন, সর্বশেষ আমার কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা ধার নেয় আমার খালা। হঠাৎ এতো টাকা কেন নিচ্ছেন? জানতে চাইলে খালা বলেন, জরুরী কাজে প্রয়োজন। আমি মনে করেছিলাম আমার খালাতো ভাই লতিফের চাকরির জন্য হয়তো টাকা প্রয়োজন।

ইদ্রিস নামে এক ব্যক্তি জানান, সব কিছু হারিয়ে বর্তমানে কুলসুম আরার পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। ছেলে মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার আবেদ আলী জানান, জিনের বাদশার মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়ে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

সকল