২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে যাত্রী নামিয়ে চলবে বাস

- ছবি : নয়া দিগন্ত

টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরের ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দিয়েই বাস চলাচল করতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল মামুন জানিয়েছেন যাত্রী নামিয়ে শুধু খালি বাস সেতুর ওপর দিয়ে চলতে পারবে। তবে মালবোঝাই ট্রাক বিকল্প সড়ক দিয়েই চলবে বলে জানান তিনি।

পাশাপাশি তিতাস নদীতে ফেরী দিয়ে যান পারাপারের উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের এই কর্মকর্তা। তবে এজন্যে প্রয়োজনীয় এপ্রোচ সড়ক ও ঘাট না থাকায় সহসা ফেরী চালু হচ্ছে না। ভাঙ্গা সেতু মেরামতের পাশাপাশি এপ্রোচ সড়ক ও ঘাট বানানোর কাজও করা হচ্ছে।

এদিকে বিকল্প সড়ক পথে চলতে গিয়ে নানা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্নস্থানে। বিকল্প সড়কে পণ্যভর্তি ট্রাক চলাচল করতে না পারায় মহাসড়কের ওপর অবস্থান করছে পণ্যবাহী শতশত ট্রাক।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুরের তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এই সেতুদিয়ে সবধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয় সওজ বিভাগ। যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলের জন্য বলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বিকল্প সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিকল্প পথও ভারী যান চলাচলের অনুপযোগী। এতে করে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণকে।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বেইলি সেতু স্থাপন কাজ শেষে বাস চালাচল করার জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলোকে সেতু পারাপার হতে হবে। আর বেইলি সেতুতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প হিসেবে ফেরি রাখা হবে। ছয়-সাতদিনের মধ্যে ফেরি চলে আসবে।

প্রসঙ্গত, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মাঝখানে বেইলি সেতু বসিয়ে কোনো রকমে যান চলাচল স্বভাবিক রাখা হয়েছিল। সওজ বিভাগ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ১৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ করে। তবে সেই নির্দেশনা না মেনে প্রতিনিয়ত ১৫ টনের অধিক যানবাহন সেতু পারাপার হয়।


আরো সংবাদ



premium cement