২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

একটি সড়কের নীরব কান্না ও বহু মানুষের দুর্ভোগ

কালভার্ট নির্মাণের জন্য এভাবে রাস্তা খুঁড়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমাকার ধারণ করেছে। ছবিটি পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের এ এস আলিম মাদ্রাসা সড়ক থেকে তোলা - নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া এ এস মাদ্রাসা সড়ক। প্রায় ২ মাস আগে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য সড়কটি খুঁড়ে এভাবে ফেলে রেখে যান ঠিকাদার। এতে করে মাদ্রাসাগামী শত শত শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার পথচারীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এদিকে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ বলছেন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় মালামাল নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ওই কালভার্টের কাজ শেষ হতে আরো কয়েকমাস সময় লেগে যেতে পারেও বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।

জানাযায়, পেকুয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্যায়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। ‘মেসার্স জাহাঙ্গীর আলম সিকদার কনষ্ট্রাকশন ফার্ম’ এ কালভার্টটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী জালাল আহমদ সিকদার চেয়ারম্যান জানান, ‘এলজিইডি কর্তৃপক্ষ যে কালভার্টটির ডিজাইন করেছে স্থানীয়দের মতে তা অত্যন্ত ছোট হবে এবং তা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে সঠিক সময়ে পানি নিস্কাশন সম্ভব হবেনা ফলে লোকলয়ে জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তারা সরেজমিনে তদন্ত করে ডিজাইন পরিবর্তন ও বাজেট নির্ধারণের প্রক্রিয়া শেষ করে পুনরায় কাজ শুরু করতে বর্ষা মৌসুম চলে আসে। ফলে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।’ এতে করে স্থানীয় পথচারীদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় অধিবাসি এডভোকেট মীর মোশাররফ হোসেন টিটু জানান, ‘উজানটিয়া ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে মাদ্রাসা সড়কটি। ঠিকাদারের উচিত ছিল রাস্তা খুঁড়ার আগে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত বিকল্প রাস্তা তৈরী করে দেয়া। কিন্তু তা না করেই রাস্তায় খাল কেটে দিয়ে ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে হাওয়া হয়ে যান। যার ফলে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।’

এ বিষয়ে পেকুয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাহেদুল আলম জানান, ‘জনগণের সুবিধার্থেই কালভার্টটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের সময় স্থানীয়দের সাময়িক অসুবিধা সবসময় হয়। আমরা সার্বক্ষনিক লক্ষ রাখছি, এলাকাবাসিকে দুর্ভোগের মধ্যে না ফেলে সঠিক সময়ে যাতে কাজটি বাস্তবায়িত হয়। তবে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় কাজটি শেষ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement