নুসরাত হত্যা : সব আসামির ফাঁসি দাবি মায়ের
- নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী
- ২৯ মে ২০১৯, ১৬:৩৯, আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ১৬:৫৫
আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামির ফাঁসি চেয়েছেন তার মা শিরিন আক্তার। সেই সাথে এ মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
নুসরাত হত্যা মামলার এক মাস ২১ দিন পর চার্জশিট দেয়া হলো আজ বুধবার। চার্জশিটে ১৬ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তিনি হত্যাকান্ডের সময় জেলে থাকলেও তার নির্দেশনায়ই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
অপর আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলম (৫০), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন (১৯), হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), আফছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মণি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আবদুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), মোহাম্মদ শামীম (২০) ও মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিরিন আক্তার বলেন, পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা নুসরাত জাহান রাফিকে বোনের মতো ভেবে নিরসলভাবে কাজ করেছেন। কম সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করে নজির সৃষ্টি করেছে পিবিআই।
নুসরাতের মা শিরিন আক্তার আরো বলেন, অনেক ধরনের হুমকি আসে। তবে আমরা এটাকে আমলে নেই না। যেখানে মেয়েকে হারিয়েছি সেখানে নিজেরা বেঁচে থেকে কি করব। যেখানে নুসরাত হত্যার বিচারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন, সেখানে আমাদের মেরে ফেললেও কোনো সমস্যা নেই। এসময় তিনি তার নিজের ও পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ নুসরাতকে শ্লীলতাহানির পর রাস্তায় নিরাপত্তা দিয়েছি। ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা, সেজন্য রাস্তায় কেউ যাতে সমস্যা করতে না পারে সেজন্য রাস্তায় আমার ছেলেরা ছিল। কিন্তু মাদরাসা তো নিরাপদ। সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।
নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে আমার বোনের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে মারা যান রাফি। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা