২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একরামকে পুড়িয়ে হত্যার ৫ বছরেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জনসহ ১৯ আসামি অধরা

- ফাইল ছবি

ফেনী শহরের একাডেমী সড়কে দিনদুপুরে ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরামকে পুড়িয়ে হত্যার ৫ বছর পেরিয়েছে সোমবার। বিশ্বজুড়ে আলোচিত এ হত্যার রায়ের এক বছর পার হলেও এখনো অধরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জনসহ পলাতক ১৯ আসামী।

সূত্র জানায়, একরামকে হত্যার পর তার ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মিনারকে প্রধান আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ চার্জশীট জমা দেন। দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ফেনীর তৎকালীন দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড সহ ৫৫ জনকে সাজা দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে বেরিয়ে পলাতক ও ৯ জন শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী সিফাত, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. আজমির হোসেন রায়হান, মো. শাহজালাল উদ্দিন শিপন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে আজাদ, কাজী শানান মাহমুদ, মীর হোসেন আরিফ ওরফে নাতি আরিফ, আরিফ ওরফে পাঙ্কু আরিফ, রাশেদুল ইসলাম রাজু, মো. সোহান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন নয়ন, নিজাম উদ্দিন আবু, আবদুল কাইউম, নুর উদ্দিন মিয়া, তোতা মানিক, মো. সজিব, মামুন, রুবেল, হুমায়ুন ও টিপু।

পলাতক ১৭ আসামী হলো ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড় মনির ছেলে আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জি. রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন আকরাম, শফিকুর রহমান ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলেহ উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু ও টিটু।

এদের মধ্যে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যায় জাহিদ চৌধুরী, এমরান হোসেন রাসেল, জাহেদুল হাসেম সৈকত, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আবিদুল ইসলাম আবিদ, জিয়াউর রহমান বাপ্পি ও আরমান হোসেন কাউসার।

আর গ্রেফতারই করা যায়নি ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, শফিকুর রহমান ময়না, একরাম হোসেন আকরাম, মহি উদ্দিন আনিছ, মোসলেহ উদ্দিন আসিফ, টিটু, বাবলুকে।

একরামের ভাই মোজাম্মেল হক জানান, একরাম হত্যা মামলার ১৯ আসামি পাঁচ বছরেও ধরা পড়েনি। এদের মধ্যে ১৭ আসামিই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। বাকি দু’জনও সাজাপ্রাপ্ত। রায় দ্রুত কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

ফেনী জেলা কারাগারের জেলার মো. দিদারুল আলম জানান, রায়ের পর আসামিদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে ঢাকার কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ফেনী জেলা কারাগারে রয়েছে আসামি নুর উদ্দিন মিয়া, আরিফ ওরফে পাঙ্কু আরিফ ও তোতা মানিক। দণ্ডপ্রাপ্ত এ তিন আসামি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় আদালতে হাজিরা দিতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ফেনী কারাগারে আনা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা জেলা কারাগারে রয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির আদেল ও আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু।


আরো সংবাদ



premium cement