২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গাসহ ৩ জন নিহত

-

কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী ও সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কের বীচ এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গাসহ তিনজন নিহত হয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধে’র পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটেছে আজ মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে।

টেকনাফে নিহত হয়েছেন আব্দুস সালাম (৫২) ও আজিম উল্লাহ (২২) নামে দুজন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। পুলিশ বলছে তারা মানব পাচারকারী। এছাড়া কক্সবাজার শহরে নিহত হয়েছেন ছৈয়দুল মোস্তফা ভুলু নামে একজন। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি বলে পুলিশ জানায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো: ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, গ্রেফতারের পর প্রাপ্ত তথ্যমতে ছৈয়দুল মোস্তফা ভুলুকে নিয়ে কাটা পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সেখানে অবস্থান করা ভুলুর সহযোগিরা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও ৬টি খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভুলুকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভুলু কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজির পুত্র। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

অপরদিকে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী আব্দুস সালাম ও আজিম উল্লাহ নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে শামলাপুর এলাকার টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে ‘বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত আব্দুস সালাম উখিয়ার পালংখালীর জামতলীর ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা এবং এর আগে তিনি মালয়েশিয়া থাকতেন। অন্যদিকে আজিম উল্লাহ টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিককে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে পুলিশের বিশেষ টিম উপজেলার বাহারছড়ার শামলাপুর এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ১১ জন নারী ও কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নারীরা গুলিবিদ্ধ দুজনকে দালাল বলে শনাক্ত করেন এবং তারা তাদের মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছিল বলে জানায়। গুলিবিদ্ধ দুই দালালকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় রোহিঙ্গা শিবিরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, নিহত দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগনে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকাপয়সা আত্মসাৎ করছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় দুটি অস্ত্র (এলজি), পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১১ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিরুল হকসহ চারজন আহত হয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত নারীর মৃত্যু ‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ

সকল