২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুটুম্ববাড়ির ভিন্ন স্বাদের বাহারি ইফতারে ঐতিহ্যের ছোঁয়া

কুটুম্ববাড়ির ভিন্ন স্বাদের বাহারি ইফতারে ঐতিহ্যের ছোঁয়া - নয়া দিগন্ত

নিত্য নতুন খাবার তৈরি এখন ব্যবসা নয়, এটি এখন শিল্পও বটে। আর রমজানে পুষ্টিকর খাবার খেতে কে না চান। তাই বাহারি রকমের মান সম্পন্ন ইফতার খেতে চাইলে যেতে হবে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরাঁয়। সেখানে রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক ইফতারের আয়োজন বসছে।

ভোজনবিলাসী হিসেবে চট্টগ্রামবাসীর নামডাক দীর্ঘদিনের। নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচিত হতে তারা সবসময় থাকে উদগ্রীব। এই ধারণা নিয়ে ৫ বছর আগে যাত্রা শুরু করে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরাঁ এন্ড বিরানী হাউজ। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মানসম্মত খাবার ভালো দামে বিক্রি করায় কয়েক বছরের মধ্যে সুনাম ছড়িতে পড়ে চট্টগ্রাম শহরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলোতে। ভোজনরসিকরা দলে দলে ভিড় জমান এখানে।

বাহারি স্বাদের ও বিভিন্ন দামের ইফতার সামগ্রী কিনতে রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকেই শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ আসছেন এখানে।

রেস্তারা মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোজাদারদের রসনা বিলাস মেটাতে নগরীর কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরাঁয় প্রতিবারের মতো এবারো রয়েছে বাহারি স্বাদে ও বৈচিত্রে ভরপুর ইফতার সামগ্রীর। নগরীর প্রবেশমুখ এ কে খাঁন ও অলংকার শাখায় পাওয়া যাচ্ছে এসব মজাদার ইফতার। মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর ইফতার আয়োজনে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরাঁয় রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে রেস্তোরাঁটির একে খাঁন ও অলংকার শাখা গ্রাহকদের মন জয় করে চলেছে। প্রতিবছরের মতো এবারো রমজান মাসকে ঘিরে কুটুম্ববাড়িতে পরিচ্ছন্নতা ও ভালো খাবারের নিশ্চয়তার পাশাপাশি মেন্যু তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কর্তৃপক্ষ।

সারাদিন রোজা শেষে রোজাদাররা এখানে এসে তৃপ্তি নিয়ে ইফতার করেন। ভাজা-পোড়া ও বাসি খাবার বর্জন করতে এখানে ছুটে আসেন অনেকে। বিভিন্ন ইফতার পাটিতে ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করার পাশাপাশি রেস্তোরাঁয় রয়েছে পাচঁশ’ লোকের একসাথে ইফতারের ব্যবস্থা।

কথা হয় ইফতার কিনতে আসা মেহেদী হাসান নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরায় হরেক রকমের ইফতার তৈরি হয়। এখানকার খাবার স্বাস্থ্যসম্মতও। আর সে কারণেই এখানে প্রতিবছর আসি ইফতার কিনতে।

তিনি আরো বলেন, আমি এ হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। এখানের রমজানের বাহারি আয়োজন আমাকেও মুগ্ধ করে। ঐতিহ্যের সঙ্গে এখানে মানের দিকটাও দেখা হয়। এখানকার ইফতার সে কারণেই বাড়িতে কিনে নিয়ে যাই।

কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরাঁর পরিচালক আশরাফুল আহসান রাকিব বলেন, খাবারে গুণগত মান বজায় রাখার কারণে প্রতি বছরের অন্য সময়ের মতো রমজানেও ক্রেতারা ভিড় জমান। পুরো রমজানেই বেচাকেনা থাকে জমজমাট। কেননা, বাজারের সবচেয়ে সেরা জিনিসটি হোটেলের জন্য কিনে নিয়ে আসি। আর তার সঠিক মান নিয়ন্ত্রণের পর, তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিই।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি ভিন্ন রকম আয়োজন করেছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি কুটুম্ববাড়ির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের সকল মানুষকে ভালো কিছু উপহার দিতে। এখন কুটুম্ববাড়ি নগরবাসীসহ মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ফেনী, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, পটিয়াবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ সবসময় আমরা ভালোমানের খাবার পরিবেশন করছি।

তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ইফতার সামগ্রীর অর্ডার আসে। তবে চট্টগ্রামবাসীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মেজবানি গোশতের চাহিদা বেশি। তাই এবারও রমজানের পুরো মাসটিতে কুটুম্ববাড়িতে পাওয়া যাবে মেজবানি গোশত। কেউ অর্ডার করতে চাইলে করা যাবে। এছাড়া এখানে সেহেরী করার ব্যবস্থাও রয়েছে।

রমজানে ইফতারের স্পেশাল মেন্যু:

এখানে রয়েছে দেশি ও ভারতীয় খাবারের বিপুল সম্ভার। ইন্ডিয়ান তান্দুরি ফ্রাই, ইন্ডিয়ান তান্দুরি টিক্কা, চিকেন বড় স্টিক, চিকেন মিনি স্টিক, চিকেন ড্রাম স্টিক, চিকেন উইং ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল, ভেজিটেবল রোল, খাসির চপ, চিকেন চপ, হানি চিকেন, কেএফসি চিকেন, তান্দুরি মসলা, চিকেন অনথন, চিকেন বল, পিস বল, চিকেন ভেজিটেবল পাকুড়া, স্পেশাল ডিম চপ, ফ্রাইড ফ্রন, চিকেন পাকুড়া, চিকেন টোষ্ট, ফ্রেন টোস্ট, চিকেন পাউরুটি চপ, চিকেন চপস্টিক, চিকেন চপ, চিকেন কাটলেট, চিকেন গ্রিল, চিকেন সমুছা, স্পেশাল ফিরনি, স্পেশাল দধি, মিক্স ফ্রুট, পাটিসাপটা পিঠা, বুস্ট চিকেন ফ্রাই, জালি কাবাব, সামি কাবাব, স্পেশাল লাচ্ছি জিলাপি, স্পেশাল শাহী বোম্বে জিলাপি, মাটন বিফ ও চিকেন কাটিস্টিক, চিকেন জালি কাবাব ও চিকেন কেসকি ফ্রাই।

এছাড়া ইফতারের নিয়মিত মেন্যু- ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, চপ, মরিচা, দই, চিকেন-মাটন-বিফ হালিম, নবাব বিরানি, মেজবানির গোশত, ফিরনি ইত্যাদি রয়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement